২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০৪:১০:১৮ পূর্বাহ্ন
এশিয়া কাপ বাংলাদেশের কাছে ‘রিয়েলেটি চেক’
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৯-২০২৩
এশিয়া কাপ বাংলাদেশের কাছে ‘রিয়েলেটি চেক’

এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আরেকটি হার বাংলাদেশের। প্রেমাদাসার হারের ব্যাখ্যা দিতে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তাঁর কথার বেশির ভাগই থাকল এখানে—


প্রশ্ন: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং-ব্যর্থতার কারণ  কী? 

সাকিব: মনে হচ্ছিল, এ রকম একটা পিচ, ২৩০-২৪০ রান তাড়া করা সম্ভব। ২৬০ রান (২৫৮) অবশ্যই একটু বেশি ছিল। বেশি মনে হতো না, রাতে যারাই ভালো ব্যাটিং করছে, উইকেট দিনের চেয়ে ভালো ছিল। আমরা সেই সুযোগটা নিতে পারিনি। ওই জায়গায় ২০টা রান বেশি দিয়ে ফেলেছি।


প্রশ্ন: নাঈমের পারফরম্যান্স আর ওপেনিংয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা—কী বলবেন? 

সাকিব: পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি, সেটা বলা ভুল হবে। নাঈমের চার নম্বর ম্যাচ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা খুব একটা হয়নি। প্রথম ম্যাচের পর চোটের সংখ্যা বাড়ছে। লিটন আসছে, সব মিলিয়ে অন্য কিছু চিন্তা করতে হতো। আমাদের যে পরিকল্পনা ছিল, সে হিসেবে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টিম ম্যানেজমেন্টের মনে হয়েছে, মিরাজ অনেক ভালো অপশন (ওপেনিংয়ে)। ওদের মিস্ট্রি স্পিনার মুজিব ও থিকসানাকে মিরাজ ভালো খেলেছে। এটাই আসলে কারণ। সিদ্ধান্ত চিন্তা করেই নেওয়া। আমাদের ওপেনিংয়ে ৫০ রান এসেছে। ওটাই ৮০-৯০ রানের দরকার ছিল। হলে খেলাটা অন্য রকম হতো। আর নাঈমের কথা যদি একেবারে বলেন, চারটা ম্যাচই ও শুরু করেছে। এমন নয় যে গিয়েই আউট হয়ে যাচ্ছে। এটা ওর স্কিলের চেয়ে মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার। একজন ব্যাটার যখন ২০ রান ঠিকঠাক করতে পারে, তার ৮০-১০০ রান করার সক্ষমতা আছে।


প্রশ্ন: মাহমুদউল্লাহর জায়গায় যাঁরা খেললেন, তাঁদের পারফরম্যান্সে কি আপনি সন্তুষ্ট?

সাকিব: সর্বশেষ তিন সিরিজে রিয়াদ ভাই (মাহমুদউল্লাহ) ছিলেন না। তখন আপনারা এসব কথা বলছেন কি না জানি না। কিন্তু এখন বলছেন। আমার মনে হয়, এই বিষয়টা অপ্রাসঙ্গিক। তাঁর জায়গায় দলে এসেছিল তাওহীদ হৃদয়।


প্রশ্ন: মেকশিফট ওপেনার হিসেবেই নিয়মিত খেলবেন মিরাজ?

সাকিব: মিরাজের সলিড ব্যাটার, ভালো টেকনিক। একটা ফ্লুক নয় যে এসেই সেঞ্চুরি করে ফেলবে; বিশেষ করে অন্যতম সেরা বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে। সে উইকেট যেমনই হোক। সে যদি সাতে খেলে, তাহলে আমাদের ব্যাটিং গভীরতা বাড়ে। 


প্রশ্ন: দলের পুরো ব্যাটিং নিয়ে কী বলবেন? 

সাকিব: বেশ কিছুদিন ধরে আমরা সেভাবে ভালো ব্যাটিং করছি না। সেখান থেকে এটা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। সে জায়গাগুলো আমাদের দেখার আছে, এটা কীভাবে সমাধান করতে পারি। বিশ্বকাপের আগে আমাদের এ রকম একটা টুর্নামেন্ট খুব দরকার ছিল। এটা আমাদের রিয়েলেটি চেক। দেখুন দ্বিপক্ষীয় সিরিজ যখনই হয়, চার বছরের মধ্যে যত সিরিজ হয়, আমরা সেগুলোয় ভালোই করি। বড় পরীক্ষা হয় এমন টুর্নামেন্টে, যেখানে আমরা আহামরি কিছু করেনি। ২০১১,২০১৫, ২০১৯ বিশ্বকাপে আমরা তিনটি করে ম্যাচ জিতেছি। যখনই আমাদের রিয়েলিটি চেক হয় আমরা ব্যর্থই হয়েছি। আমাদের ভালো হয়েছে বিশ্বকাপের মতো এ রকম একটা টুর্নামেন্ট খেলতে পেরে। আমাদের থিংক ট্যাংক চিন্তা করবে এই সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায়।


প্রশ্ন: এ মাসের শেষে নিউজিল্যান্ড সিরিজেও কি পারফরম্যান্স দেখে দল ঘোষণা করা হবে? 

সাকিব: অবশ্য দেখার সুযোগ আছে। যেহেতু আইসিসি থেকে দল দেওয়ার ডেডলাইন ২৬-২৭ সেপ্টেম্বর। নিউজিল্যান্ড সিরিজে আমাদের পারফরম্যান্স দেখার অপশন আছে। সেখানেও আমরা ট্রাই করব। আমরা যদি আরও এক-দুজনকে পেয়ে যাই, আরও ভালো হবে। সবারই সুযোগ আছে (অভিজ্ঞ)। যারা বিশ্বকাপ দলে নিশ্চিত, আমি মনে করি, তাদের একটা বিশ্রাম দরকার। ৯টা ম্যাচ, ২টি প্রস্তুতি ম্যাচ। অনেক ভ্রমণ। আমরা খুব বেশি ধকল নিতে পারব না চোটের কারণে। আমাদের খুব ভালো বেঞ্চ নেই। 


প্রশ্ন: বিশ্বকাপের অনেক দলই ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্বকাপের এক মাসও বাকি নেই, অথচ বাংলাদেশ এখনো দল ঘোষণা করতে পারছে না। 

সাকিব: বাংলাদেশে এটা সব সময়ই হয়, এটা নতুন কিছু নয়। প্রতি বিশ্বকাপের আগেই হয়।


শেয়ার করুন