হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে নিজের পেটে ছুরি মেরে আহত নারী মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত তাসলিমা আক্তার (২২) উপজেলার নূরপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁনপুর গ্রামের কুরবান আলীর স্ত্রী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. দুদু মিয়া বলেন, ‘আহত অবস্থায় হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। গতকাল সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, স্বামী কুরবান আলীকে তাঁর শ্বশুর সুদে টাকা ধার এনে দিলে সেই টাকা পরিশোধ করতে পারছিলেন না কুরবান। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কুরবানের সঙ্গে তাসলিমা আক্তারের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাসলিমা ছুরি দিয়ে নিজের পেটে নিজেই আঘাত করেন। প্রতিবেশীরা তাৎক্ষণিক হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তাসলিমা আক্তারের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে ৩ বছরের এবং ছোট ছেলে ৮ মাসের।
স্থানীয় মহিলা মেম্বার শাহেলা আক্তার বলেন, ‘আমি শুনেছি। এখন পর্যন্ত প্রকৃত ঘটনা আমার জানা নেই। এ ছাড়া পরিবারের লোকজন কেউই বাড়িতে না থাকায় বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাচ্ছে না।’
নিহত নারীর স্বামী কুরবান আলীর সঙ্গে কথা বলতে মোবাইল ফোনে কল করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি শেখ নাজমুল হক কামাল জানান, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। সর্বশেষ জানা যায়, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে রাখা আছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।