০১ অক্টোবর ২০২৩, রবিবার, ০৬:৩৭:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
এমটিএফই কেলেঙ্কারি: দায় কার রাজশাহী ও নওগাঁর ২ গ্রামে যাচ্ছে শহরের সুবিধা বিশ্বে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমলেও দেশে বাড়ছে নির্বাচনে বিএনপি আসুক বা না আসুক—বিকল্প রেখে আওয়ামী লীগের ভোটের ছক রাজশাহীতে 'আইসিটি ইন এডুকেশন লিটারেসি ট্রাবলস্যুটিং ও মেইনটেনেন্স 'বিষয়ক ১০ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী বেনাপোল কাস্টমসের ১৯ কেজি সোনা চুরি: সাক্ষ্য গ্রহণেই আটকা বিচার ২০৪০ সালে শীর্ষ ২০ অর্থনীতির একটি হবে বাংলাদেশ আ.লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বিলবোর্ড ব্যানার খুলে ফেলার অভিযোগ এবার সত্যিই মারা গেছেন বাংলাদেশের সাবেক কোচ হিথ স্ট্রিক ১৭ ব্যাংককে ৫০ হাজার কোটির বিশেষ সুবিধা
কাটা শুকাতে দ্রুত কাজ করে ইনসুলিন
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০৯-২০২৩
কাটা শুকাতে দ্রুত কাজ করে ইনসুলিন

প্রশ্ন: আমার ছেলের বয়স ১৯ বছর। আমরা বাবা-মা লম্বা হলেও ছেলে সেই তুলনায় লম্বা হয়নি। এ জন্য ওকে অনেক বুলির মুখোমুখি হতে হয় সব জায়গাতেই। ও মানসিকভাবে অনেক বেশি বিপর্যস্ত। আমরা অনেকভাবেই চেষ্টা করেছি, কিন্তু ওর উচ্চতা বাড়ানো সম্ভব হয়নি। কেউ কেউ বলছে, এটা হরমোনের কারণে হচ্ছে। এখন যদি আমি হরমোনের চিকিৎসা করাই, তাহলে কি তার কিছুটা লম্বা হওয়া সম্ভব? নাকি এর সাইড ইফেক্ট হতে পারে? আদিল রহমান, চট্টগ্রাম


উত্তর: হরমোনের ঘাটতির কারণে সন্তান খাটো হতে পারে; যেমন, গ্রোথ হরমোন কিংবা থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি। আবার বংশগত, খাবারদাবার ও ভিটামিন ডি-র ঘাটতির কারণেও সেটা হতে পারে। এ ছাড়া ছোটবেলা থেকে হওয়া বিভিন্ন ক্রনিক রোগও উচ্চতা কম হওয়ার কারণ। হরমোনের ঘাটতি আছে কি না, তা আগে পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করতে হবে। গ্রোথ হরমোনের ঘাটতি থাকলে, গ্রোথ প্লেট বন্ধ হয়ে গেলে এ ধরনের সমস্যা হয়। সে ক্ষেত্রে গ্রোথ হরমোন দিলেও আর কাজ হয় না। গ্রোথ প্লেট সাধারণত ১৬ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় বা জোড়া লেগে যায়। আপনার সন্তানের বয়স যেহেতু ১৯, তাই যথাযথ পরীক্ষা করে দেখতে হবে। পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে তার গ্রোথ হরমোনের ঘাটতি আছে কি না অথবা তা জোড়া লেগে গেছে কি না। এ জন্য একজন হরমোন বিশেষজ্ঞ বা থাইরোলজিস্টের পরামর্শ নিন। 


প্রশ্ন: ২৫ বছর বয়সে আমার ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। এখন আমার বয়স ৪১ বছর। আমার একটা টিউমার অপারেশন করাতে হবে। কিন্তু ডায়াবেটিসের কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। আমি চাচ্ছি স্বাভাবিক নিয়মে এটা কমিয়ে ফেলতে। এটা কি কোনোভাবে সম্ভব? মানে প্রতিদিনের ওষুধের পাশাপাশি আমার এমন কী করা উচিত, যার মাধ্যমে আমি ডায়াবেটিসটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব? আমি ইনসুলিন নিচ্ছি ১০ বছর যাবৎ। এ ছাড়া আমার লো প্রেশারের সমস্যাও আছে। আল আমিন, ঢাকা


উত্তর: অপারেশনের আগে ইনসুলিন দিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা ভালো। এর দুটি ভালো দিক আছে। একটি হলো, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলে অপারেশনের জটিলতা কম হয়। ইনসুলিন দ্রুত কাটা শুকাতে কাজ করে। খাওয়ার ওষুধগুলো অপারেশনের সময় কিছুটা জটিলতা তৈরি করতে পারে। তাই আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে ইনসুলিন দিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা। তারপর অপারেশন করানো। অপারেশনের পর ইনসুলিন বন্ধ 

করে দেওয়া যাবে। একবার ইনসুলিন শুরু করে তা আর বন্ধ করা যাবে না, এটা ভুল ধারণা। মুখের ওষুধ, খাবারে নিয়ন্ত্রণ, হাঁটাচলা ও ব্যায়াম করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। তবে এগুলো সময়সাপেক্ষ এবং  অপারেশনের সময় কিছু ঝুঁকি থাকে।


শেয়ার করুন