২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৩:৫৭:৪৭ অপরাহ্ন
ভোটাধিকার না থাকলে জনগণের প্রার্থী বিজয়ী হতে পারে না: মোস্তফা আল মাহমুদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-০৯-২০২৩
ভোটাধিকার না থাকলে জনগণের প্রার্থী বিজয়ী হতে পারে না: মোস্তফা আল মাহমুদ

জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ বলেছেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচনে মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায়। ভোটাধিকার না থাকলে জনগণের মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হতে পারে না। জনগণের প্রার্থী বিজয়ী না হলে অধিকার প্রতিষ্ঠা হয় না।’ 


গতকাল শুক্রবার বিকেলে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার চরপুঁটিমারী ইউনিয়নের ডিক্রিরচর মোল্লাবাজারে গণসংযোগকালে তিনি এ কথা বলেন।


মোস্তফা আল মাহমুদ বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের মালিক জনগণ। জনগণ ভোট দিয়ে যাদের নির্বাচিত করবে, তারাই সরকার গঠন করবে। তারাই ক্ষমতায় থাকবে এবং তারাই দেশ পরিচালনা করবে। আমরা গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি থেকে অনেক দূর সরে গেছি।’ 


জামালপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলালকে উদ্দেশ্য করে জাপা নেতা মোস্তফা আল মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা উন্নয়নের নামে মহাদুর্নীতি কায়েম করেছেন। আপনাদের লুটপাটের ফিরিস্তি মানুষ কখনো ভুলবে না। ব্রহ্মপুত্র নদ আর যমুনা নদীভাঙনে মানুষ যখন দিশেহারা, তখন আপনারা বাঁধ নির্মাণের নামে ইসলামপুরবাসীর সঙ্গে তামাশা করে যাচ্ছেন। ভাঙন রোধে টেকসই বাঁধের দরকার। বালুর বাঁধ আর লুটপাটের বাঁধ নির্মাণ করে এলাকাবাসীকে নদীভাঙন থেকে মুক্ত করা যাবে না। যেদিকে তাকাই, সেদিকেই আপনাদের মহাদুর্নীতির দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। সর্বস্তরে লুটপাটের স্বর্গরাজ্য কায়েম করা হয়েছে। মানুষ আওয়ামী লীগের নেতাদের ধিক্কার দিচ্ছে।’ 


আগামী সংসদ নির্বাচনে ইসলামপুর আসন থেকে এমপি প্রার্থী হিসেবে অংশ নেবেন জানিয়ে মোস্তফা আল মাহমুদ বলেন, ‘গত সংসদ নির্বাচনে আমার কাছ থেকে আসনটি চেয়ে নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এবার ছাড় দেওয়া হবে না। এলাকার মানুষ আমাকেই এমপি হিসেবে দেখতে চায়। উন্নয়নের নামে সাগরচুরি হওয়ায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর কাছ থেকে মানুষ প্রতিনিয়তই দূরে সরে যাচ্ছে।’ 


জাপা নেতা মোস্তফা আল মাহমুদ বলেন, ‘ইসলামপুরবাসী লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। ইতিমধ্যে জাতীয় পার্টি প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করে শক্তিশালী অবস্থা সৃষ্টি করেছে। আগামীতে জনগণ যদি সুযোগ পায়, তবে লাঙ্গল প্রতীকই ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবে, এতে কোনো ধরনের সন্দেহ নেই।’ 


গণসংযোগকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন, সহসভাপতি ফেরদৌসুর রহমান সরকার, হারুনুর রশিদ হারুন, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান বিপু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল্লাহ ও জুয়েল সরকার। 


এদিন বিশাল গাড়িবহরে উপজেলার চরগোয়ালিনী ও চরপুঁটিমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ভোটারদের মধ্যে গণসংযোগ করেন মোস্তফা আল মাহমুদ। এতে তিন শতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন। পরে বিভিন্ন দলের ১০০ জন নেতা-কর্মী মোস্তফা আল মাহমুদের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। 


উল্লেখ্য, ইসলামপুর উপজেলা ও জামালপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন মোস্তফা আল মাহমুদ। তিনি ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামপুর আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিলেও শেষ পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারে করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফরিদুল হক খান দুলালকে সমর্থন দেন।


শেয়ার করুন