দেশের বৃহৎ জলাভূমি চলনবিলে এখন থই থই পানি নেই। পানি অনেকটাই শুকিয়ে এসেছে। ফলে বিস্তীর্ণ বিলজুড়ে শুরু হয়েছে মাছ ধরার উৎসব। সুতিজাল, বেড়জাল, পলো দিয়ে মাছ ধরছেন জেলেরা। পাশেই বাঁশের ছাউনিতে বসানো হয়েছে শুঁটকির অস্থায়ী চাতাল। সেই চাতালে মিঠাপানির বিভিন্ন ধরনের মাছ শুকিয়ে তৈরি করা হচ্ছে শুঁটকি।
‘‘এ’ গ্রেডের বা ভালো মানের শুঁটকি রপ্তানি হয় যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, দুবাইসহ ১০-১২টি দেশে। মূলত ঢাকার ব্যবসায়ীদের হাত ঘুরেই এখানকার শুঁটকি বিদেশে যায়। আর ‘বি’ ও ‘সি’ গ্রেডের শুঁটকি বিক্রি হচ্ছে ঢাকা, সৈয়দপুর ও তিস্তা অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়’
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার চলনবিল অঞ্চলে দেখা যায় এমন দৃশ্য। বিলের দিকে এগোতেই নাকে আসে শুঁটকির গন্ধ। আলাপ করে জানা যায়, এসব শুঁটকি দেশের চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে বিদেশেও।