২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ১১:৩৪:০৪ পূর্বাহ্ন
রাবিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়ন শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-১০-২০২৩
রাবিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়ন শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মহিলা পরিষদ, রাজশাহী জেলা শাখা, নারী ও কল্যাণ এবং সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উত্যক্তকরণ, যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন: প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার (২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এ ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবনের প্রকৌশল গ্যালারীতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।


সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপ উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম এবং জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডে।


মহিলা পরিষদ রাজশাহী জেলার সাধারণ সম্পাদক অঞ্জনা সরকার তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, নারী নির্যাতন বা নারীর প্রতি সহিংসতার রয়েছে নানা ধরন, রয়েছে বহুমাত্রিক প্রভাব। দেশ–কাল, জাতি, ধর্ম বর্ণের সীমায় এটি আবদ্ধ নয়। নারীর প্রতি সহিংসতা একটি বৈশ্বিক বিষয়। নারী নির্যাতন বা নারীর প্রতি সহিংসতার একটি ধরণ হচ্ছে যৌন হয়রানি, যৌন নিপীড়ন বা উত্ত্যক্তকরণ। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয়েও ঘটে চরম নীতিহীনতার লাগামছাড়া ঘটনা।


তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনার আলোকে গঠিত যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগ নিশ্চিত করা এবং এই কমিটির কার্যক্রম মনিটরিং করার বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।


এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্ত্যক্তকরণ, যৌন হয়রানির ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও প্রতিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে, নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর বাতিলকৃত ধারা ১০(২) পুনর্বহাল করতে হবে ইত্যাদিসহ আরও নয়টি সুপারিশ উল্লেখ করেন।


রাজশাহী কোর্টের সরকারি আইনজীবী এবং রাজশাহী জেলা মহিলা যুবলীগের সভাপতি ইসমত আরা বলেন, শিক্ষকই যদি যৌন হয়রানির শিকার হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের জন্য তারা কি আর করবে! যত দ্রুত সম্ভব বিচারের আওতায় এনে তাকে শাস্তি দেওয়া হোক। সে শিক্ষক, কর্মচারী বা ছাত্র যেই হোক না কেন। শুধু সিন্ডিকেটে মিটিং করলেই হবে না, অভিযোগের বিষয়ে যেন তদন্ত হয় এবং দৃষ্টাতমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।


উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন,

প্রতিনিয়ত এই হয়রানির ঘটনাগুলো ঘটছে। আমাদের প্রয়োজন এ বিষয়ে সচেতনতা। এী কোনো বিকল্প নেই। আসলে আমরা অনেকেই জানি না কোন কোন বিষয় এই যৌন নিপীড়নের আওতায় পড়ে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পড়ে দুটি ঘটনা আমার কাছে এসেছে। এগুলো খুবই  ন্যাক্কারজনক ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নের বিষয়টি এখনো আইনে পরিণত হয় নি। এটি ২০০৯ সালে একটি নীতি হয়েছিল। আমরা চাই যেকোনো অন্যায় অবিচারের বিচার হোক। আমরা মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখতে চাই। এখানকার সুপারিশমালার সবই আমাদের যৌন নিপীড়ন সেলদ্বারা প্রতিপালিত।


সভায় সভাপতিত্ব করেন, বিশ্ববিদ্যালয় মহিলা পরিষদের সভাপতি রাশেদা খালেক এবং

সঞ্চালনা করেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ড. সুমাইয়া খানম।


মতবিনিময় সভায় মহিলা পরিষদের বিভিন্ন শাখার নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষক–শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।


শেয়ার করুন