রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেছেন, ইউক্রেনকে ব্যাপক হারে অস্ত্র সহযোগিতা দিয়ে রাশিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল শুক্রবার বেলারুশের ব্রেস্ত অঞ্চলের একটি সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শনের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘আমি গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারছি যে—আমি আবারও বলছি এটি একান্তই আমার ব্যক্তিগত মত—যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়াকে তার ভান্ডারে থাকা সবচেয়ে চরম অস্ত্রটি ব্যবহারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তারা (যুক্তরাষ্ট্র) ভলোদিমির ওলেকজান্দ্রোভিচ জেলেনস্কি ও তাঁর সেনাবাহিনীকে দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর পাল্লা প্রায় ৩০০ কিলোমিটার উল্লেখ করে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যদি এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো রাশিয়ার ভূখণ্ডে আঘাত হানে, তবে রাশিয়াকে অবশ্যই তার জবাব দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে রাশিয়ার ভূখণ্ডে যেকোনো হামলার ফলাফল হবে ব্যাপক।’ এ সময় তিনি পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘তাহলে আমাদের এসব (পারমাণবিক) অস্ত্রের কী প্রয়োজন আসলে?’
লুকাশেঙ্কোর মতে, রাশিয়া ও অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে যখন রাশিয়া তার পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারের জন্য ‘রেড বাটন’গুলো বের করে টেবিলে রেখে দিতে পারে। যাতে করে যেকোনো সময় সেগুলোর কোনো একটি বা একাধিক বাটন টিপে দেওয়া যায়। তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্র কখনোই পারমাণবিক হামলার ফলাফল নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়। কারণ তারা তো মহাসাগরের আরেক পাড়ে, অনেক দূরে অবস্থান করছে।
পুতিনের ঘনিষ্ঠ এই মিত্রের এমন মন্তব্য এমন এক সময়ে এল যার মাত্র একদিন আগেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ফের পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা শুরু করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। পুতিন বলেন, ‘সুস্পষ্ট চিন্তার ও পরিষ্কার স্মৃতির কোনো ব্যক্তিই রাশিয়ার বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার কথা কল্পনাও করবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমি পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষার ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরেই শুনে আসছি। তবে ঠিক কখন এ ধরনের অস্ত্রের পরীক্ষা চালানো উচিত, সে বিষয়ে আমি স্পষ্ট কোনো মন্তব্য করতে প্রস্তুত নই।’