২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ১০:৩৮:১৯ পূর্বাহ্ন
মিয়ানমারে জান্তাবাহিনীর হামলায় ২৯ বেসামরিক নাগরিক নিহত
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-১০-২০২৩
মিয়ানমারে জান্তাবাহিনীর হামলায় ২৯ বেসামরিক নাগরিক নিহত

মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন জান্তাবাহিনীর হামলায় অন্তত ২৯ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার চীন সীমান্তের কাছে একটি শরণার্থীশিবিরে জান্তাবাহিনীর হামলায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) এক শীর্ষ কর্মকর্তা গতকাল মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 


বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি চীন সীমান্তের কাছে লাইজা নামে ওই এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ করছে। কেআইএ-এর কর্নেল নাউ বু জানিয়েছেন, গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পটিতে হামলা চালায় জান্তাবাহিনী। তিনি বলেন, ‘আমরা হামলার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। নিহতের মধ্যে শিশুও ছিল।’ তিনি জানান, এই ঘটনায় ৫৬ জন আহত হয়েছেন। 

 

কর্নেল নাউ বু জানিয়েছেন, ক্যাম্পটিতে কী ধরনের হামলা চালানো হয়েছিল তা জানতে তদন্ত চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা কোনো বিমানের আওয়াজ শুনিনি। তবে হামলার জন্য জান্তাবাহিনী ড্রোন ব্যবহার করেছে কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখছি। 


২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে দেশটি সেনাবাহিনী। ক্ষমতাচ্যুত করা হয় গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে। কারাবন্দী করা হয় নোবেল বিজয়ী গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু কিকে। এর পর থেকেই দেশটিতে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে বিদ্রোহ। গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক নেতারা মিলে গঠন করে জাতীয় ঐক্যের সরকার। ছায়া সরকার পরিচালনার পাশাপাশি তারা পিপলস ডিফেন্স ফোর্স বা পিডিএফ নামে একটি সশস্ত্র শাখাও চালু করে। 


পিডিএফ ও অন্যান্য মুক্তিকামী নৃগোষ্ঠীর সশস্ত্র সংগঠন মিলে গড়ে তোলে এথনিক আর্মড অর্গানাইজেশন। কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি সেই এথনিক আর্মড অর্গানাইজেশনেরও সদস্য। গোষ্ঠীটি বিগত কয়েক দশক ধরেই কাচিনে জান্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। কিন্তু ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি জান্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা আরও তীব্রতর করেছে।


শেয়ার করুন