যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত হামাস। এমনটাই জানিয়েছেন দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতা ও পলিটিক্যাল ব্যুরোর ডেপুটি চেয়ারম্যান মুসা আবু মারজুক। তিনি বলেছেন, সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনায় প্রস্তুত। এ সময় তিনি জানান, হামাস এরই মধ্যে এই হামলার লক্ষ্য অর্জন করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত শনিবার সকালে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলের দিকে ৫ হাজার মিসাইল ছোড়ে। একই সঙ্গে স্থলপথ, জলপথ ও আকাশপথে দেশটিতে ঢুকে পড়েন হামাস যোদ্ধারা। ইসরায়েলও এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ঘোষণা করে হামাসের বিরুদ্ধে। দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী এই যুদ্ধে এ পর্যন্ত আট শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে।
এই অবস্থায় পাল্টা আক্রমণের ঘোষণা দিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, ‘হামাসের সামনে কঠিন ও ভয়াবহ সময় অপেক্ষা করছে। আমরা এরই মধ্যে সেটি নিশ্চিত করার পথেই রয়েছি এবং পাল্টা হামলা শুরু হয়েছে।’ এ সময় তিনি স্থানীয় মেয়র ও জনগণের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের সহায়তা করতে ইসরায়েল সব উপায়ই ব্যবহার করবে।’
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে এমন হুমকি আসার আগেই অবশ্য হামাসের তরফ থেকে যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে। আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুসা আবু মারজুককে প্রশ্ন করা হয়, হামাস যুদ্ধবিরতিতে আগ্রহী কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘হামাস এমন যেকোনো ধরনের বিষয়ে আলোচনা ও রাজনৈতিক সংলাপের জন্য উন্মুক্ত।’
এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮৭ জন। আহত হয়েছে আরও অন্তত ৩ হাজার ৭২৭ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজার হাসপাতালগুলোতে এখন পর্যন্ত ৬৮৭ জনের মরদেহ এসেছে। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় এই অঞ্চলজুড়ে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩ হাজার ৭২৭ জন।
অন্যদিকে গাজা উপত্যকায় সব ধরনের খাবার, জ্বালানি, ওষুধসহ অন্যান্য পণ্যের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা এবং জলসীমায় অতিরিক্ত যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্বল্প সময়ের নোটিশে দেশের ৩ লাখ রিজার্ভ সৈন্যকে সক্রিয় ডিউটিতে ডেকে পাঠিয়েছে।