ঢাকা থেকে খুলনার পথে চলাচলকারী ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ ও ঢাকা থেকে যশোর হয়ে বেনাপোল যাওয়ার ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেনের রুট পরিবর্তন হচ্ছে। পদ্মা সেতু দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হলে এই দুটি ট্রেন বিদ্যমান পথে আর চলাচল করবে না। এছাড়া রাজশাহী থেকে ফরিদপুরের গোয়ালন্দ ঘাট পর্যন্ত চলা মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনও ঢাকায় আসবে।
ঢাকার কমলাপুর থেকে পদ্মা সেতু ব্যবহার করে ফরিদপুরের ভাঙ্গা হয়ে খুলনা, বেনাপোল ও রাজশাহী পৌঁছাবে এসব ট্রেন।
সেই সঙ্গে বর্তমান ভাড়া থেকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে। নতুন পথে চলাচল শুরু হলে নতুন ভাড়া কার্যকর হবে।
সোমবার (৯ অক্টোবর) পদ্মা দিয়ে চলাচল করবে এমন তিন ট্রেনের ভাড়া চূড়ান্ত করা হয়। ভাড়া নির্ধারণ করার জন্য গঠিত কমিটি কালের কণ্ঠকে নতুন ভাড়া সম্পর্কিত তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত (এ/সি) সিটের ভাড়া বর্তমানে ১ হাজার ১৫৬ টাকা। বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ২২৫ টাকা। সিন্ধা আসনের বর্তমান ভাড়া ৯৬৬ টাকা। এই ভাড়া বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ২০ টাকা।
আর শোভন চেয়ারের ভাড়া ৫০৫ টাকা থেকে বেড়ে ৬১৫ টাকা করা হয়েছে।
ঢাকা থেকে গেন্ডারিয়া-কেরানীগঞ্জ-পদ্মা সেতু-ভাঙ্গা জংশন-পাচুরিয়া-খোকসা-চুয়াডাঙ্গা হয়ে খুলনার দৌলতপুর পর্যন্ত যাবে সুন্দরবন এক্সপ্রেস। পুরো রেলপথের দৈর্ঘ্য ৬৭০ কিলোমিটার। কমলাপুর ও দৌলতপুর বাস দিয়ে মাঝে থাকছে ২৮ রেলস্টেশন। মোট সাত শ্রেণিতে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকা থেকে খুলনার দৌলতপুর পর্যন্ত শোভন শ্রেণির ভাড়া ৫১০ টাকা, ১ম শ্রেণি আসন ৮১৫ টাকা, ১ম শ্রেণি বার্থ ১ হাজার ২২৫ টাকা, এসি বার্থ ১ হাজার ৮৩৫ টাকা।
নতুন রেলপথে ঢাকা থেকে যশোর হয়ে বেনাপোলের দূরুত্ব ৬৪৪ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে গেন্ডারিয়া-নিমতলী-পদ্মা-ভাঙ্গা-রাজবাড়ী-কুমারখালী-চুয়াডাঙ্গা-দর্শনাহলট-যশোর হয়ে ঝিকরগাছা পর্যন্ত যাবে। পুরো পথে মাঝে ২৭টি স্টেশন থাকছে।
এই পথেও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে। এসি বার্থের বর্তমান ভাড়া ১ হাজার ৬৭৪ টাকা। বাড়িয়ে ১ হাজার ৭৭০ টাকা করা হয়েছে। সিন্ধার ভাড়া ৯৩২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৮৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। শোভন চেয়ারের ভারা ৪৮৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৯০ টাকা। এ ছাড়া শোভনের ভাড়া ৪১৫ টাকা, ১ম শ্রেণি আসন ৭৯০ টাকা, ১ম শ্রেণি বার্থ ১ হাজার ১৮০ টাকা এবং এসি আসনের ভাড়া ১ হাজার ১৮০ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
রাজশাহী থেকে ভাঙ্গা হয়ে ঢাকা পর্যন্ত রেলপথের দূরুত্ব দাঁড়াচ্ছে ৬৩০ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে গেন্ডারিয়া-নিমতলী-পদ্মা-শিবচর-ভাঙ্গা-রাজবাড়ী-পাংসা-কুষ্টিয়াকোর্ট-ভেরামারা-ঈশ্বরদী হয়ে রাজশাহীর আব্দুলপুর। পুরো পথে মাঝে ২৬টি স্টেশন রয়েছে।
এই পথে চলবে মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেন। এই ট্রেনটি ঢাকায় প্রথম আসবে। চূড়ান্ত করা ভাড়ার তালিকা অনুযায়ী ঢাকা থেকে ঝিকরগাছা পর্যন্ত শোভন ৪৮৫ টাকা, শোভন চেয়ার ৫৮০ টাকা, ১ম শ্রেণি ৭৭০ টাকা, ১ম শ্রেণি বার্থ ১ হাজার ১৫৫ টাকা, সিন্ধ ৯৬৫ টাকা, এসি আসন ১ হাজার ১৫৫ ও এসি বার্থের ভাড়া ১ হাজার ৭৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।