২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ১০:২৯:১৩ অপরাহ্ন
প্রতিশোধ নিতে সিরিয়ায় বিমান হামলা চালাল মার্কিন সেনাবাহিনী
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-১০-২০২৩
প্রতিশোধ নিতে সিরিয়ায় বিমান হামলা চালাল মার্কিন সেনাবাহিনী

পূর্ব সিরিয়ার দুটি স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। পেন্টাগন জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের দুটি ঘাঁটিতে এই হামলা চালানো হয়। এ সপ্তাহের শুরুতে এই অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটিতে হওয়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। 


টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ায় এই হামলা ‘ভারসাম্য বজায় রাখার’ ব্যাপারে বাইডেন প্রশাসনের সংকল্পেরই প্রতিফলন। ওয়াশিংটনের মতে, ইরান সমর্থিত যে গোষ্ঠীগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আঘাত হানতে চায় বা ইতিমধ্যে আঘাত হেনেছে, তাদের প্রতিও পাল্টা হামলা করার ব্যাপারে বাইডেন প্রশাসন এরই মধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ হিসেবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য খর্ব করতে ইরান সমর্থিত গ্রুপগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। 


পেন্টাগন জানিয়েছে, ১৭ অক্টোবর থেকে ইরাকে মার্কিন ঘাঁটি ও কর্মীদের ওপর কমপক্ষে ১২টি এবং সিরিয়ায় চারটি হামলা হয়েছে। বিমানবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রাইডার বলেছেন, ইরাকের আল-আসাদ বিমান ঘাঁটি এবং সিরিয়ার আল-তানফ সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়। এ দুটি হামলায় ২১ মার্কিন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। 


এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেন, ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে ইরানসমর্থিত আধাসামরিক বাহিনীগুলো ১৭ অক্টোবর থেকে যে হামলা চালিয়েছে, তার বেশির ভাগই সফল হয়নি। তবে তার জবাব হিসেবে এই নির্ভুল আত্মরক্ষামূলক হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। 


তিনি আরও বলেন, এ রকম হামলার মাধ্যমে বার্তা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি এটা স্পষ্ট করতে বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র তার ওপর আসা হামলাগুলোকে সহ্য করবে না এবং নিজেদের কর্মকর্তা, নাগরিক ও স্বার্থকে রক্ষা করবে। এই অভিযান যে হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ থেকে আলাদা, সেটিও উল্লেখ করেছেন লয়েড অস্টিন। 


অস্টিন এর আগে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র বড় কোনো সংঘাত চায় না। তবে ইরানি প্রক্সি গোষ্ঠীগুলো যদি একই ধরনের কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখে, যুক্তরাষ্ট্রও তার বাহিনীকে রক্ষা করার জন্য পাল্টা পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না।


শেয়ার করুন