২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৬:২১:২৩ পূর্বাহ্ন
তলে তলে কিছুই হয় নাই: মির্জা ফখরুল
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-১০-২০২৩
তলে তলে কিছুই হয় নাই: মির্জা ফখরুল

তলে তলে কিছু হয়নি বলেই ক্ষমতাসীনেরা বারবার এমন কথা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আবারও বলে, বলতে তারা (সরকার) খুব আনন্দ পায়। সেটাকে আবার পরে বলে রাজনৈতিক রসবোধ! তলে তলে নাকি সব আবার হয়ে গেছে। বারবার এ কথাটা কেন বলে? এ জন্যই বলে, আসলে কিছুই হয়নি।’ 


আজ শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনশন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে মির্জা ফখরুল  এসব কথা বলেন। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাঁর বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিএনপি এই অনশনের আয়োজন করে।


মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গোটা গণতান্ত্রিক বিশ্ব আজকে তাদের (সরকার) ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার জন্য পরিষ্কার করে বলছে এবং একটি সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচন করতে বলছে। আজকে শুধু বিএনপি নয়, সব রাজনৈতিক দলের নেতারা এই অনশনে সংহতি জানিয়েছেন। তাঁরা প্রতিজ্ঞা করেছেন, দেশনেত্রীকে মুক্ত না করে, ভয়াবহ এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় না করে কেউ বিশ্রাম করবেন না। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতন্ত্রের মুক্তি এক এবং অবিচ্ছেদ্য। এই দুটোকে এক করে আমাদের দুর্বার গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’


‘বিএনপি আমাদের শত্রু ভাবে, আমরা তাদের বন্ধু ভাবতে যাব কেন?’—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই মন্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কী ভয়ংকর কথা! বিএনপি একটি দল, যারা তিনবার ক্ষমতায় ছিল। তারা (সরকার) ঘোষণা দেয় যে বিএনপি আমাদের শত্রু। কারণ, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে কোনো দলকে শত্রু বলতে পারে না।’


মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘অনেক চড়াই-উতরাই পার করে এসেছি আমরা। এখন আমাদের সামনে লক্ষ্য মাত্র একটাই—আজকে আমাদের দেশকে বাঁচাতে হলে, অর্থনীতিকে বাঁচাতে হলে, মানুষকে বাঁচাতে হলে এবং একই সঙ্গে দেশনেত্রীসহ আমাদের সব রাজনৈতিক কর্মীদের বাঁচাতে হলে আন্দোলনের মাধ্যমে এদের পরাজিত করা ছাড়া কোনো বিকল্প নাই। দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এদের পরাজিত করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।’


এ সময় নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সামনে পূজা আছে, আমরা সব সময় বলেছি, আমরা সম্পূর্ণভাবে শান্তিপূর্ণ অসাম্প্রদায়িক ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি। আমরা চাই না, ওই আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে তারা আবার সেই সমস্যার তৈরি করবে। ইতিমধ্যে সমস্যা তৈরি করেছে। কুমিল্লাতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশ বাধা দিয়েছে, তারপর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বাধা দিয়ে তাদের আহত করেছে।’


বেলা ১১টায় শুরু হয়ে অনশন শেষ হয় ২টায়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙান লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম।


অনশন কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমানসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন। 


এ ছাড়া সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপা সভাপতি লুৎফর রহমান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ আরও অনেকে।


শেয়ার করুন