২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১২:৫৬:৩২ অপরাহ্ন
জাতীয় নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটার আনার কৌশলে আ.লীগ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-১০-২০২৩
জাতীয় নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটার আনার কৌশলে আ.লীগ

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি আসবে না ধরে নিয়েই ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সেই প্রস্তুতিতে মুখ্য কৌশল হতে যাচ্ছে ভোটার উপস্থিতি যতটা সম্ভব বাড়ানো। এই কৌশলে এগিয়ে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন করতে এরই মধ্যে নানা উদ্যোগ নিয়েছে তারা। এ ক্ষেত্রে দলের পাশাপাশি প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনও (ইসি) সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে প্রত্যাশা করছেন দলটির নেতারা।


আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে রাজপথে সক্রিয় আছে বিএনপিসহ বিরোধীরা। আবার সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বহির্বিশ্বের চাপও আছে। সব মিলিয়ে এবার নির্বাচনপূর্ব পরিবেশ একটু অন্য রকম। এই বাস্তবতায় বিএনপি ছাড়াও কীভাবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতির নির্বাচন করা যায়, তা নিয়ে আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যায় এবং ঘরে ফিরে আসে, তা নিশ্চিত করার বিষয়টি দলের পরিকল্পনায় আছে গুরুত্বপূর্ণভাবে।


আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্ল্যাহ গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ‍সংখ্যক ভোটার উপস্থিতির বিকল্প নেই। আগামী নির্বাচনে যথাসম্ভব বেশি ভোটারের উপস্থিতি হয়, সে ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। দলের লোকজনকে ইতিমধ্যে বলা হয়েছে সবাইকে সচেতন করার জন্য। শেষ পর্যন্ত ভোট ভালো হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।’


প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গতকাল শনিবার এক কর্মশালায় বলেছেন, ‘জনগণকে দেখাতে হবে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পেরেছেন। প্রবেশ করে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন—এটুকুই দেখাতে পারলে কে নির্বাচনে এল, কে এল না। জনগণ যদি আসে, ভোটাররা যদি আসে, তারা যদি ভোটাধিকার প্রয়োগ করে, তাহলে নির্বাচনে একটা বড় সফলতা। আমি যদি আপেক্ষিক অর্থে বলি, অর্জিত হয়ে যাবে।’


২০১৪ সালে সর্বশেষ বিএনপিকে ছাড়াই নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন ক্ষমতাসীনেরা। বাকি ১৪৭টি আসনের নির্বাচন হয় ওই বছরের ৫ জানুয়ারি। নির্বাচন কমিশনের হিসাব মতে, সে বছর মোট ভোটার ছিল ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৪৩ হাজার ১৮৪ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছিল মাত্র ১ কোটি ৭১ লাখ ২৯ হাজার ৮৫০ জন। শতাংশের হিসাবে তা মাত্র ৪০ দশমিক ০৪ শতাংশ।


আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে আসলে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে কোনো চিন্তার কারণ নেই। তবে বিএনপি নির্বাচনে না আসলে মহানগরগুলোতে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে কিছুটা চিন্তার বিষয় আছে।’


তবে গ্রামে ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, গ্রামের জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। নগরের ভোটার উপস্থিতির বিষয়ে আওয়ামী লীগ বিশেষভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ভোটকেন্দ্রগুলোর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ভোটার উপস্থিতির একটি পূর্বশর্ত। আশা করা হচ্ছে নির্বাচন কমিশন সে বিষয়ে সচেষ্ট থাকবে।


শেয়ার করুন