শুরুটা সাবধানী করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস। এরপর ভারতীয় বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন তামিম ও লিটন। পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমসিএ) স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে সাবলীলভাবে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। হঠাৎ করেই ম্যাচে ফেরে স্বাগতিকেরা।
প্রথম ৫ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ করে ১০ রান। এরপরই হাত খুলে খেলা শুরু করেন তামিম ও লিটন। ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বলে মোহাম্মদ সিরাজকে দুটি চার মারেন লিটন। এরপর ইনিংসের নবম ওভারে হার্দিক পান্ডিয়া বোলিংয়ে এসেও সুবিধা করতে পারেননি। দ্বিতীয় ও তৃতীয়-টানা দুই বলে লিটনের কাছে দুটি চার হজম করেন পান্ডিয়া।
যেখানে তৃতীয় বলে লিটনের স্ট্রেইট ড্রাইভে মারা শট পা দিয়ে ঠেকাতে গিয়ে চোটে পড়েন পান্ডিয়া। শেষ পর্যন্ত চোট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ভারতীয় এই অলরাউন্ডারকে। এরপরই সানগ্লাস পরে মিডিয়াম পেসে বাকি তিন বল করেছেন বিরাট কোহলি। ভারতীয় এই ক্রিকেটারের তিন বল থেকে লিটন দাস-তানজিদ হাসান তামিম দুজনে মিলে নিতে পেরেছেন ২ রান।
কোহলির ওভার শেষ করার পর বোলিংয়ে আসেন শার্দুল ঠাকুর। ইনিংসের দশম ওভারে বোলিং করতে আসা ঠাকুরের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেন তামিম। ওভারের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ৬,৪ ও ৬ মারেন বাংলাদেশের তরুণ বাঁহাতি ব্যাটার। প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ করে ৬৩ রান। এরপর ১৪ তম ওভারের চতুর্থ বলে শার্দুলকে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে চার মেরে তামিম করেন ৪৯ রান।
এরপর কাভারে ঠেলে ১ রান নিয়ে তুলে নিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। বাংলাদেশের তরুণ বাঁহাতি ব্যাটারের ফিফটি করতে লেগেছে ৪১ বল। তবে ফিফটির পর ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তামিম। ১৫ তম ওভারের চতুর্থ বলে কুলদীপ যাদবকে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লু হয়েছেন তামিম। ৪৩ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫১ রান করেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ব্যাটার। তামিম-লিটনের উদ্বোধনী জুটিতে এসেছে ৮৮ বলে ৯৩ রান।
উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর উইকেটে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান না খেলায় নেতৃত্বের দায়িত্ব পড়ে শান্তর কাঁধে। উইকেটে এসে সংগ্রাম করতে থাকা শান্তও দ্রুত বিদায় নিয়েছেন। ২০ তম ওভারের শেষ বলে রবীন্দ্র জাদেজার আর্ম বল খেলতে গিয়ে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েছেন শান্ত। বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ব্যাটার করেন ১৭ বলে ৮ রান। বাংলাদেশের স্কোর তখন ২০ ওভারে ২ উইকেটে ১১০ রান।
তামিম, শান্তর বিদায়ের পর উইকেটে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। লিটনের সঙ্গে সাবলীলভাবেই খেলতে থাকেন মিরাজ। এরপর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১২ তম ফিফটি পেয়েছেন লিটন। ২১ তম ওভারের পঞ্চম বলে কুলদীপকে লেগ সাইডে ঠেলে দিয়ে লিটন তুলে নিয়েছেন ২০২৩ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ফিফটি। ফিফটি করতে লিটনের লেগেছে ৬২ বল। এরপর খুব দ্রুতই মিরাজ ও লিটন বিদায় নিয়েছেন।
২৫ তম ওভারের প্রথম বলে মোহাম্মদ সিরাজকে লেগ সাইডে খেলতে যান মিরাজ। বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেছেন ভারতীয় উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুল। আর ২৮ তম ওভারের প্রথম বলে জাদেজাকে তুলে মারতে যান লিটন। লং অফে সহজ ক্যাচ ধরেছেন শুবমান গিল। ৮২ বলে ৭ চারে ৬৬ রান করেন লিটন। ২ উইকেটে ১১০ থেকে মুহূর্তেই ৪ উইকেটে ১৩৭ রান হয়ে যায় বাংলাদেশের। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬৫ রান করেছে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ২১ রানে ও ২১ রানে ব্যাটিং করছেন তাওহীদ হৃদয়।