ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসন ও হামলায় ফিলিস্তিনি নাগরিকদের হতাহতের ঘটনায় রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে বাংলাদেশ।
শনিবার দেশের সব প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। এর আগে গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা ফিলিস্তিনে হতাহত ব্যক্তিদের জন্য বাংলাদেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরাইলে হাজার হাজার রকেট ছোড়ে হামাস। একই সঙ্গে সীমান্ত পেরিয়ে ইসরাইলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালান হামাসের যোদ্ধারা। জবাবে ওই দিন থেকেই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এরপর থেকে তারা অবরুদ্ধ গাজায় টানা বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গাজায় দুই সপ্তাহের হামলায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে। সেখানে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১০ লাখ মানুষ। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পানির সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় গাজায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
এর নিন্দা জানিয়ে ফিলিস্তিনের পাশে থাকার কথা জানিয়ে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকার।
শোক পালনে এদিন সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি–বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবনে আয়োজিত ১৫০ সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শোক পালনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শনিবার ফিলিস্তিনের জন্য আমাদের শোক দিবস ঘোষণা করেছি। সেদিন আমাদের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।