২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০৪:৪৭:২৬ পূর্বাহ্ন
৮৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ডিএসসিসির চার খাল সংস্কারের উদ্যোগ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-১০-২০২৩
৮৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ডিএসসিসির চার খাল সংস্কারের উদ্যোগ

কালুনগর, জিরানী, মান্ডা ও শ্যামপুর খালকে স্বাভাবিক রূপে ফিরিয়ে নিতে উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)। আর এটি বাস্তবায়নে প্রায় ৮৯৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্পের অধীনে খালের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার, সীমানা নির্ধারণ, অবৈধ উচ্ছেদ ও খালের আশেপাশে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করা হবে বলে জানিয়েছে ডিএসসিসি। এ বিষয়ে ডিএসসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের বলেন, খালগুলোকে তার স্বাভাবিক রূপে ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ শুরু হয়েছে। সীমানা নির্ধারণের পরে খালের অবৈধ উচ্ছেদ করে এগুলোতে পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনা হবে।  


 


জানা যায়, খালগুলোর মোট দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে কালুনগর খাল ২ দশমিক ৪ কিলোমিটার, জিরানী খাল ৩ দশমিক ৯ কিলোমিটার, মান্দা খাল ৮ দশিমক ৭ কিলোমিটার এবং শ্যামপুর খাল ৪ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার। গত বছরের ১১ অক্টোবর প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন পায়। এর মধ্যে ২০ কিলোমিটার খালকে ৫৪টি প্যাকেজে ভাগ করে চারটিতে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে ডিএসসিসি।


 


ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ‘খাল পুনরুদ্ধার, সংস্কার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি’ প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত। বর্তমানে ২৫টি প্যাকেজ টেন্ডার কার্যক্রম করার জন্য প্রক্রিয়া চলছে। এই প্রক্রিয়া শেষ হলে বাকি প্যাকেজগুলোর জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান।


জানা গেছে, প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে—কালুনগর খালের ২ দশমিক ৪ কিলোমিটার, জিরানী খাল ৩ দশমিক ৯ কিলোমিটার, মান্ডা খালের ৮ দশমিক ৭ কিলোমিটার এবং শ্যামপুর খালের ৪ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার দখলমুক্ত ও সংস্কার। খাল উন্নয়নের অংশ হিসেবে খালের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার, পলি অপসারণ, ল্যান্ড স্কেপিং ও সবুজায়ন; নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি ও নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধিকল্পে ৩৮ দশমিক ৬ কিলোমিটার দৃষ্টিনন্দন সুরক্ষা বেষ্টনী, ৩৬টি পদচারী সেতু, ১৯টি গাড়ি চলাচল সেতু, ১০টি পাবলিক টয়লেট, ৩২.৪৪ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ, চারটি প্লাজা, বাইসাইকেল লেন স্থাপন ও ৭৭১টি নান্দনিক বাতি স্থাপন। এসব খালের দুই পাশে নির্মাণ করা হবে ওয়াকওয়ে, পাশাপাশি নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। এ জন্য ব্যয় হবে ৮৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ৬২৯ কোটি টাকা এবং ডিএসসিসি নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হবে ২৬৯ কোটি টাকা।


প্রকল্পের আওতায় কালুনগরের ২ দশমিক ৪ কিলোমিটার খাল উন্নয়নে ব্যয় হবে ৯৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, যা মোট প্রকল্পের ১০.৪৩ শতাংশ। ৩ দশমিক ৯ কিলোমিটার জিরানী খাল উন্নয়নে ব্যয় হবে ১৬৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা, ৮ দশমিক ৭ কিলোমিটার মান্ডা খাল উন্নয়নে ২ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে ও ৪ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার শ্যামপুর খাল উন্নয়নে ১৭৭ কোটি ১ লাখ টাকা ব্যয় হবে। প্রকল্পে ইউটিলিটি লাইন স্থানান্তরে ৩২ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। পরামর্শক খাতে ৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় চারটি ডবল কেবিন পিকআপ কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা।


শেয়ার করুন