২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৪:২৩:২২ অপরাহ্ন
পালাক্রমে করা ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ছাত্রীকে ব্লাকমেইল, আটক ১
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-১০-২০২৩
পালাক্রমে করা ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ছাত্রীকে ব্লাকমেইল, আটক ১

নওগাঁর সদর থানায় এক ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তার ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। সেই ভিডিও দেখিয়ে ব্লাকমেইল করলে ভুক্তভোগী ছাত্রী পরিবারকে জানায়। এরপর তার বাবা বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে থানায় সেই দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। মামলার পর শনিবার ঢাকা থেকে মো. সুজন (৩৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে থানা পুলিশ। এঘটনায় জড়িত মো. মনোয়ার (৩৪) নামের অপরজন পলাতক রয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রী উপজেলার হাপানিয়া হাইস্কুল ও কলেজের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।



আটককৃত সুজন উপজেলার একডালা গ্রামের মো. ফজলুর ছেলে ও পলাতক মনোয়ার মোহনপুর গ্রামের মো. আ. সামাদের ছেলে।



মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল আনুমানিক ৭ টার দিকে  ভুক্তভোগী ছাত্রী হাপানিয়া বাজারে প্রাইভেট পড়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।সে সময় একডালা গ্রামের আরাফাত অটোর সামনে পৌঁছালে বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় গ্রাম সম্পর্কে চাচা সুজন তার ব্যাটারী চালিত টমটম গাড়ী নিয়ে রাস্তায় যাওয়ার সময় ভুক্তভোগীকে তার টমটম গাড়ীতে উঠিয়ে নেয়। পরে সে কৌশলে ভুক্তভোগীকে বাজারের পার্শ্বে তার ভাড়াকৃত বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরে মনোয়ারকে ফোনে ডেকে নিয়ে তারা বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়।তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে জোরপূর্বক পালাক্রমে তারা ধর্ষন করে এবং ধর্ষনের দৃশ্য তাদের মোবাইলে ধারণ করে। উক্ত ঘটনার বিষয়ে কাউকে বললে সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। ভুক্তভোগী ছাত্রী ভয়ে এবং লোক লজ্জার কারণে উক্ত ঘটনা গোপন করে রাখে।



এরপর গত বুধবার সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে মনোয়ার ওই ভিডিও দেখিয়ে পুনরায় শারীরিক সম্পর্কের জন্য চাপ দেয় এবং শারীরিক সম্পর্ক না করলে তাদের নিকট থাকা ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিবে বলে হুমকি দিলে ভুক্তভোগী ছাত্রী তার বাবা ও পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানায়। এরপর তার বাবা শুক্রবার রাতে নওগাঁ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।



মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ওই ছাত্রীর বাবার করা মামলার এক নাম্বার আসামি সুজনকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়েছে। আজ রাতে তাকে নিয়ে এসে আগামীকাল আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে। এবং এ মামলার অপর আসামি পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।

শেয়ার করুন