২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৭:৫৩:৫৮ অপরাহ্ন
গাজায় কী করা হবে, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানাল ইসরায়েল
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-১০-২০২৩
গাজায় কী করা হবে, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানাল ইসরায়েল

গাজা নিয়ে নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে ইসরায়েল সরকার। এরই মধ্যে হামাসের বিরুদ্ধে তিন ধাপের যুদ্ধ পরিকল্পনাও নির্ধারণ করা হয়েছে। এই তিন ধাপ যুদ্ধের উদ্দেশ্য গাজায় একটি ‘নতুন নিরাপত্তা শাসনব্যবস্থা’ প্রতিষ্ঠা করা। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত এই পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 


ইসরায়েল সরকার গাজা থেকে ২০০৫ সালে সেনা প্রত্যাহার করে। পরে অঞ্চলটির ওপর নৌ, স্থল এমনকি আকাশ অবরোধও আরোপ করে। ২০০৬ সালে হামাস গাজার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০০৭ সালে ইসরায়েল গাজার ওপর অবরোধ আরও কঠিন করে। এরপর গাজাকে কেন্দ্র করে ইসরায়েল-হামাস একাধিকবার সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। সর্বশেষ গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে দেশটির অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েন হামাস যোদ্ধারা। 


হামাসের সেই হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ১ হাজার ৪০০ নাগরিক নিহত হয়, আহত হয় আরও অন্তত ৪ হাজার মানুষ। প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীও গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করে। ইসরায়েলি হামলায় গাজা ও পশ্চিম তীরে প্রাণহানি নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত সাড়ে ৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ১৫ হাজার ৪০০ জন। ইসরায়েল জানাচ্ছে, তারা গাজায় হামলা আরও তীব্র করবে। 


এই অবস্থায় গাজাকে নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন ইয়োভ গ্যালান্ত। তিনি জানিয়েছেন, গাজায় হামাসের সরকারব্যবস্থা, সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করতে তিন ধাপে যুদ্ধ পরিচালনা করা হবে। এর মধ্য দিয়ে হামাসকে নির্মূল করা হবে। তিনি বলেন, যুদ্ধের যে বর্তমান ও প্রথম ধাপ চলছে, সেখানে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ ও তাদের অবকাঠামোকে ধ্বংস করা হবে।


ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা কমিটির সামনে গ্যালান্ত জানান, পরবর্তী ধাপগুলো কয়েক দিন, কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসে শেষ হয়ে যাবে এমনটা ভাবা যাবে না। তবে এই তিন ধাপ যুদ্ধের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো—‘এই অঞ্চলে (গাজায়) একটি নতুন নিরাপত্তা শাসনব্যবস্থা গঠন করে গাজার ওপর ইসরায়েলের দায়বদ্ধতা অপসারণ করা।’ গ্যালান্ত বলেন, ‘গাজায় সামরিক অভিযান ইসরায়েলের নাগরিকদের জন্য একটি নতুন নিরাপত্তা বাস্তবতা প্রতিস্থাপন করবে।’ 


এদিকে গাজায় ইসরায়েলি হামলা আরও বাড়ানোর হুমকি দিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী। আসন্ন স্থল অভিযানের লক্ষ্যে আরও সুযোগ তৈরি করতে ইসরায়েলি বাহিনী এই হামলা চালাবে বলে জানিয়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, আজ রোববার থেকেই এই হামলা শুরু হবে। 


ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল দানিয়েল হ্যাগারি শিগগিরই হামলা শুরু হবে উল্লেখ করে গতকাল শনিবার রাতে বলেন, ‘নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে আপনারা (ফিলিস্তিনিরা) গাজার দক্ষিণাঞ্চলে সরে যান। আমরা গাজা শহরে আক্রমণ চালাতেই থাকব এবং এই আক্রমণ ক্রমেই বাড়বে।’


শেয়ার করুন