১৬ বছর পর ফের ট্র্যাকে গড়াচ্ছে সাফ সিনিয়র অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ। শেষবার ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই প্রতিযোগিতা। প্রায় দেড় যুগ পর ৩-৫ মে ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের রাঁচিতে অনুষ্ঠিত হবে সাফ সিনিয়র অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ।
এই আসরের সাত ইভেন্টে ১৪ জন অ্যাথলেট অংশ নেবেন। সেই লক্ষ্যে আজ বনানী আর্মি স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প।
গত মাসে ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সিনিয়র অ্যাথলেটিক্স মিট থেকে বাছাই করা হয়েছে অ্যাথলেটদের। কোচ কিতাব আলী, ফরিদ খান চৌধুরী, আবদুল্লাহ হেল কাফি ও ফৌজিয়া হুদা জুঁইয়ের দৃষ্টিতে সেরা হয়েছেন এই ১৪ অ্যাথলেট। যারা সাফ অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেবেন। ইভেন্টগুলো হলো—১০০ মিটার স্প্রিন্টে মো. ইসমাইল, রাকিবুল হাসান, জুবায়েল ইসলাম, শিরিন আক্তার, সুমাইয়া আক্তার। পুরুষদের ৪০০ মিটার স্প্রিন্টে জহির রায়হান, হাইজাম্পে মাহফুজুর রহমান ও রিতু আক্তার, লংজাম্পে মাসুদ রানা-২ ও সোনিয়া আক্তার, ৪০০ মিটার হার্ডলসে নাজিমুল হোসেন রনি ও মাসুদ রানা-১, ১১০ মিটার হার্ডলসে তানভির ফয়সাল ও ম্যারাথনে আল আমিন।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন, ‘দেশের সেরা কোচ কিতাব আলীকে কো-অর্ডিনেটর ও অভিজ্ঞ ম্যারাথন কোচ ফরিদ খান চৌধুরীকে ক্যাম্প কমান্ডার করা হয়েছে। স্প্রিন্ট কোচ হিসাবে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের উপপরিচালক আবদুল্লাহ হেল কাফি এবং জাম্প প্রশিক্ষক ও ক্যাম্প কমান্ড্যান্ট (মহিলা) বিকেএসপির কোচ ফৌজিয়া হুদা জুঁইকে রাখা হয়েছে।’
জুঁইকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাদের নারী ক্রিকেট দলের স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ হিসাবে সম্প্রতি নিয়োগ দিয়েছে। এ বিষয়ে শাহ আলম বলেন, ‘জুঁইকে বিসিবি তাদের কাজে লাগালে আমরা অন্য কোচ খুঁজে নেব। এতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।’
অ্যাথলেটদের আবাসনের বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে অ্যাথলেটদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বাংলাদেশ সেনা ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড সেখানকার ট্র্যাক, জিমনেশিয়াম ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যাবতীয় ক্রীড়া সরঞ্জামাদি দিয়ে আমাদের সহায়তা করবে। অ্যাথলেট ও কোচদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা আর্মি স্টেডিয়ামের বিওএ আবাসিক হোস্টেলে করা হবে।’