রাজশাহীতে মেডিকেলে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা রামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) পর্যবেক্ষণে ছিলেন। এ নিয়ে রামেক হাসপাতালে চলতি ডেঙ্গু মৌসুমে ২২ জনের মৃত্যু হলো।
বর্তমানে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরও ২০৮ জন। হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া দুইজনের মধ্যে একজনের নাম জেসমিন বেগম (৫০)। তিনি পেশায় গৃহিণী। তিনি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার রহিছ উদ্দিনের মেয়ে।
অপরজনের নাম পলাশ ইসলাম (২৯)। পলাশ পেশায় চাকরিজীবী ছিলেন। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রাকিবুল ইসলামের ছেলে।
আজ বুধবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএমএ শামীম আহাম্মদ দুই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জেসমিন বেগমের দুই দিন থেকে তীব্র জ্বর ছিল। তবে তার কোনো ভ্রমণ ইতিহাস ছিল না। গত ২৩ অক্টোবর দুপুরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার তীব্র পেট ব্যথা ও হার্টে সমস্যা ছিল।
শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এছাড়া পলাশেরও কোনো ভ্রমণ ইতিহাস ছিল না। তিনি পাঁচ দিন থেকে জ্বরে ভুগছিলেন।
তার শারীরিক অবস্থা বেগতিক হওয়ায় তাকে ২৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টার দিকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ভর্তির পরই তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারও মৃত্যু হয়।
রামেক হাসপাতাল পরিচালক আরও জানান, এ নিয়ে এই হাসপাতালে চলতি ডেঙ্গু মৌসুমে মোট ২২ জনের মৃত্যু হলো। বর্তমানে হাসপাতালে আরও ২০৮ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি আছেন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৪১ জন। আর এখন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিন হাজার ৪২৯ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তিন হাজার ১৯৯ জন।