রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির একটি নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ নৌকা প্রার্থী ফারুক চৌধুরীসহ ৫ সমর্থক। রোববার রাতে গোদাগাড়ী থানায় মামলাটি দায়ের করেন মাহির মামাতো ভাই জাহিদুল ইসলাম।
মামলায় গোদাগাড়ীর দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের কোষাধ্যক্ষ বেলাল উদ্দিন সোহেলকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন- মো. রিজওয়ান, রতন আলী, সালমান ফিরোজ ফয়সাল ও মামুনুর রশীদ ওরফে বাবু। এছাড়া অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে দেওপাড়া ইউনিয়নের পালপুরে মাহির নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেন নৌকার সমর্থকর। পরদিন রোববার গভীর রাতে দেওপাড়া ইউনিয়নের ভাগাইল গ্রামে মাহির ট্রাক প্রতীকের একটি নির্বাচনী কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এসব ঘটনার জন্য মাহি ইউপি চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতিকে দায়ী করেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল। তিনি বলেন, ‘নিজেরা নিজেরাই কার্যালয় পুড়িয়েছে। এরপর আমাদের দোষ দিচ্ছে। পায়ে পা বাধিয়ে ঝামেলা করার মতো বিষয় এটা।’
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন বলেন, নির্বাচনী কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মাহিয়া মাহির পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আসামিরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, এমন প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
রাজশাহী-১ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীকে ভোট করছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ আসনের টানা তিনবারের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। ভোটারের মন জয় করতে শুরু থেকেই মাহি তার প্রচারণার সময় ওমর ফারুক চৌধুরীর নানা বিতর্ক সামনে আনছেন।