রাজধানীতে আজ শনিবার আওয়ামী লীগ–বিএনপির সমাবেশের পাশাপাশি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিল জামায়াতে ইসলামীও। তবে বড় দুই দল পুলিশের অনুমতি পেলেও জামায়াত তা পায়নি। অনুমতি না পেলেও মতিঝিলে সমাবেশের ঘোষণায় অনড় থাকে জামায়াত।
আজ সকাল থেকেই জামায়াতের নেতা–কর্মীরা মতিঝিল এলাকার বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নিতে থাকেন। তাঁরা ঢাকার বাইরে থেকে আসা বিএনপির নেতা–কর্মীদের মিছিলে মিশে যান। সকালে মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংকের পেছনের কালভার্ট রোডে জামায়াতের নেতা–কর্মীরা জড়ো হলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়। এ সময় বেশ কয়েকজনকে আটক করতে দেখা যায়।
সকাল সাড়ে ৭টায় আরামবাগে সাউদিয়া বাস কাউন্টারের সামনে জামায়াতের কর্মীরা জড়ো হলে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়। ভোর থেকেই আরামবাগ মোড় থেকে শাপলা চত্বর যাওয়ার পথের মুখে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছিল পুলিশ। এতে কমলাপুর থেকে আসা পল্টনের সমাবেশমুখী মিছিলগুলো যেতে সমস্যা হচ্ছিল। সকাল থেকেই এই মোড়ে কয়েকবার বসে পড়ার চেষ্টা করেন নয়াপল্টনমুখী নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের কয়েক দফা উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে কমলাপুর দিক থেকে আসা কয়েকটি মিছিলের নেতা-কর্মীরা এক যোগে এসব ব্যারিকেড তুলে ফেলে। পুলিশ তখন শান্ত ও সতর্ক অবস্থানে ছিল। তবে ব্যারিকেড ভাঙার পর নেতা-কর্মীদের মধ্যে আরও উত্তেজনা ছড়িয় পড়ে। তখন পুলিশ বাঁশির হুঁইসেল দিয়ে নেতা-কর্মীদের দিকে আগাতে থাকে এবং নেতা-কর্মীরা পেছাতে থাকে।
দুই মিনিটের মধ্যে নেতা-কর্মীদের কয়েকশ গজ দূরে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং ব্যারিকেডগুলো আগের স্থানে বসায় পুলিশ।
সকাল সাড়ে ১০টায় দেখা যায় কয়েক হাজার জামায়াতের নেতা–কর্মী কমলাপুর রোড থেকে অবস্থান নিয়ে আরামবাগ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁরা কালিমা খচিত ব্যান্ড মাথায় নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
এ সময় পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে।
এ দিকে সকাল সাড়ে ৯টার দিক আরামবাগ মোড় ও নটরডেম কলেজের মাঝামাঝি জায়গায় একটি ছোট জটলা ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। সেখান থেকে মিজানুর রহমান নামে একজনকে আটক করে পুলিশ।
আটকের সময় আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা হয় মিজানুরের। তিনি বলেন, ‘আমি নারায়নগঞ্জ থেকে এসেছি। জামায়াতের সমাবেশে এসেছি। আমি জামায়াতের সমর্থক। পুলিশ আমাকে ধাওয়া দিয়েছে, আমি পুলিশের গায়ে হাত তুলিনি।’
সিটিটিসি প্রধান পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আসাদুজ্জামান সকাল ১০টায় বলেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারা অপ্রীতিকর কিছু করতে চাইলে প্রতিহত করা হবে।