২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০১:৪৭:৪২ পূর্বাহ্ন
কাশ্মীর নিয়ে বক্তব্যের জন্য ৭ বছরের কারাদণ্ডের মুখে অরুন্ধতী রায়
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-১০-২০২৩
কাশ্মীর নিয়ে বক্তব্যের জন্য ৭ বছরের কারাদণ্ডের মুখে অরুন্ধতী রায়

কাশ্মীরকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার দাবি তোলায় বুকার পুরস্কার বিজয়ী ভারতের সাহিত্যিক অরুন্ধতী রায় ও কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা চালানোর অনুমতি দিয়েছেন দিল্লির উপ-রাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনা। এই মামলায় অরুন্ধতী রায়ের সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।


ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১০ সালে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ওই বছরই দিল্লিতে এক জনসভায় কাশ্মীর ইস্যুতে ‘উসকানিমূলক ভাষণ’ দেওয়ার অভিযোগ উঠে তাদের বিরুদ্ধে।


২০১০ সালে অরুন্ধতী রায় ও শেখ শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সুশীল পণ্ডিত ও ‘রুটস ইন কাশ্মীর’ নামে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের এক সংগঠন। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ এ, ১৫৩বি ও ৫০৫ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৬ ধারার অধীনে এই ধরনের বিচারের জন্য রাষ্ট্রের অনুমোদন প্রয়োজন হয়।


ভারতীয় বিধিতে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের (ইউএপিএ) অধীনে বেআইনি কার্যক্রমে সমর্থন, উৎসাহ বা উসকানি দেওয়া সাত বছর পর্যন্ত কারাবাসের শাস্তিযোগ্য।


অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ 

অভিযোগে বলা হয়, কমিটি ফর রিলিজ অব পলিটিক্যাল প্রিজনারস-এর আয়োজিত ‘আজাদি: দ্য অনলি ওয়ে’ নামে ২০১০ সালের ২১ অক্টোবরের কনফারেন্সে কাশ্মীরকে ভারতের থেকে বিচ্ছিন্ন করার দাবি তোলা হয়েছিল। সেখানে অরুন্ধতী রায় ও শেখ শওকত হোসেন সহ অন্যান্যদের ভাষণগুলো ছিল ‘উসকানিমূলক’।


এই মামলায় আরও দুই অভিযুক্ত দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাঈদ আবদুল রহমান গিলানি এবং কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সাঈদ আলি শাহ গিলানি। এর আগে সংসদে হামলা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন দুজন। কিন্তু এই মামলার নিষ্পত্তির আগেই তারা মারা গেছেন।


ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ এ,১৫৩ বি,৫০৪, ৫০৫ ধারা এবং ইউএপিএ-এর ১৩ ধারায় অরুন্ধতী রায় ও শেখ শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে দিল্লি পুলিশ। ভারতীয় পেনাল কোডের অধীনে তিনটি ধারায় মামলা পরিচালনা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।


ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ ধারা ধর্ম, জাতি, জন্মস্থান, বাসস্থান, ভাষা ইত্যাদির ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে বিদ্বেষ প্রচার এবং সম্প্রীতির জন্য ক্ষতিকর কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত।


জাতীয় ঐক্যের জন্য ক্ষতিকর, এমন অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত ১৫৩বি ধারা। এ ছাড়া, শান্তি বিনষ্টের উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ৫০৫ ধারা।


শেয়ার করুন