২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০১:৫৬:০৫ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতীয় সেনার আত্মত্যাগ অবিস্মরণীয় :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-১০-২০২৩
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতীয় সেনার আত্মত্যাগ অবিস্মরণীয় :

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতীয় সেনা ও জনগণের আত্মত্যাগ কখনো ভুলবার নয়। আমরা তাদের বীরত্বের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করি। স্বাধীনতাযুদ্ধে শাহাদাতবরণকারী ভারতীয় সেনাদের সম্মানে গত বছর চালু হওয়া ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্টুডেন্ট স্কলারশিপ’প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা তাদের পূর্বপুরুষের বীরত্ব ও সাহসিকতার কথা সব সময় স্মরণ করবে এবং তাঁদের আদর্শের আলোকে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও গভীর করতে অবদান রাখবে। নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে গতকাল আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্টুডেন্ট স্কলারশিপ’ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে শাহাদাতবরণকারী ভারতীয় সেনাদের সম্মান জানাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতে তাঁর রাষ্ট্রীয় সফরকালে এ স্কলারশিপটি চালু করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ ও গুরুতর আহত ভারতীয় সেনাদের বংশধরদের এ স্কলারশিপ দেওয়া হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা লে. কর্নেল কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বীরপ্রতীকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট বক্তৃতা করেন। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।


 তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ ভারতীয় সেনাদের সম্মান জানানো ও তাঁদের পরবর্তী প্রজন্মের প্রতিনিধিদের বৃত্তি প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান। অজয় ভাট বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ আগামী দিনগুলোয় দুই দেশের সরকার ও জনগণের মধ্যে বিদ্যমান আত্মিক সম্পর্ক আরও সুসংহত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতের সেনাবৃন্দ, শহীদ ভারতীয় সেনাদের পরবর্তী প্রজন্মের প্রতিনিধিরা, ভারতের রাজনৈতিক নেতা ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


শেয়ার করুন