২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০৫:০৪:১৫ পূর্বাহ্ন
পাকিস্তানের বিশ্বকাপ শেষে বাবর যে কারণে হতাশ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-১১-২০২৩
পাকিস্তানের বিশ্বকাপ শেষে বাবর যে কারণে হতাশ

প্রথম দুই ম্যাচ দুর্দান্তভাবে জিতে ২০২৩ বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিল পাকিস্তান। এর পরই খেই হারিয়ে ফেলে তারা। বাজেভাবে ম্যাচ হারায় নেট রানরেটেও পিছিয়ে পড়তে থাকে বাবর আজমের পাকিস্তান। সেমিফাইনাল খেলার আশা নিয়ে এলেও তাদের টুর্নামেন্ট শেষ হয়েছে প্রথম রাউন্ডেই। দলের এমন অবস্থায় অধিনায়ক বাবর স্বাভাবিকভাবেই হতাশ। 


এবারের বিশ্বকাপে বেশির ভাগ ম্যাচেই হয়েছে রানের বন্যা। তেমনি কয়েকটা ম্যাচে আশানুরূপ স্কোর করতে পারেনি দলগুলো। কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে গতকাল পাকিস্তান-ইংল্যান্ড ম্যাচ নিয়ে এবারের বিশ্বকাপে হয়েছে ৪৪ ম্যাচ। ৪৪ ম্যাচের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে চেন্নাইতে গত ২৭ অক্টোবর পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ। এই ম্যাচে ২৭১ রান তাড়া করতে নেমে ৪০ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ২৫০ রান। সেখান থেকে প্রোটিয়ারা ৪৭.২ ওভারে ম্যাচ জিতেছে ১ উইকেট হাতে রেখে। এই ম্যাচ জিততে পারলে পাকিস্তানের পয়েন্ট হতো ১০। তাতে সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা ভালোভাবেই থাকত। তাতে হয়তো গতকাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অবাস্তব সমীকরণ মেলাতে নামতে হতো না পাকিস্তানকে। যেখানে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৩৩৭ রান করার পরই পাকিস্তানের বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হয়ে যায়। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাবর হতাশার সুরে বলেন, ‘হ্যাঁ। পারফরম্যান্স নিয়ে খুবই হতাশ। যদি আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটা জিততে পারতাম, তাহলে গল্পটা ভিন্ন হতে পারত।’ 


টুর্নামেন্টে ব্যাটিংয়ের চেয়েও বোলিং, ফিল্ডিং বেশ ভুগিয়েছে পাকিস্তানকে। তাদের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড তিন শতাধিক রান করেছে, যার মধ্যে নিউজিল্যান্ড করেছে ৪০১ রান। আর গতকাল ব্যক্তিগত ১০ রানে জীবন পাওয়া বেন স্টোকস করেন ৮৪ রান। আর ৪০ ওভারে ২ উইকেটে ২৪০ থেকে ইংল্যান্ড করেছে ৯ উইকেটে ৩৩৭ রান। পাকিস্তান ম্যাচ হেরেছে ৯৩ রানে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—তিন বিভাগেই পাকিস্তান ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করেন বাবর। পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন, ‘বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং—সব জায়গাতেই আমাদের ভুল ছিল। ২০-৩০ রান বেশি দিয়েছি। কিছু বাজে বল দিয়েছি। আমাদের স্পিনাররা উইকেট নিতে পারেনি। এটাই অনেক বেশি প্রভাব ফেলেছে। মিডল ওভারে স্পিনাররা উইকেট না পেলে আপনাকে ভুগতে হবে।’

শেয়ার করুন