২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৫:৩৭:১৭ অপরাহ্ন
শীতের আমেজ রেখে ‘মিধিলি’র বিদায়
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-১১-২০২৩
শীতের আমেজ রেখে ‘মিধিলি’র বিদায়

ঘুর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাব কেটে গেছে। তবে মিধিলি বিদায় নিলেও প্রকৃতিতে এখনো বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। এখন থেকে ধীরে ধীরে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতে থাকবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। অর্থাৎ শীতের আগমন যে ঘটতে যাচ্ছে তা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে।


শনিবার (১৮ নভেম্বর) অস্থায়ীভাবে আকাশ মেঘলাসহ সারাদেশে আবহাওয়া সাধারণত শুষ্ক থাকতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।


আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, গতকাল শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকাল তিনটায় এটি উপকূল অতিক্রম করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে। যে কারণে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। দু’দিন আগে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে গতকাল শুক্রবার ঘুর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। ‘মিধিলি’ নামের ঘুর্ণিঝড় কয়েক ঘণ্টায় দেশের উপকূলের ১১টি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে যেতে লণ্ডভণ্ড করে রেখে যায়।


রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আবহাওয়ার সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘুর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ শুক্রবার বিকাল তিনটায় উপকূল অতিক্রম করে পটুয়াখালী ও এর কাছাকাছি এলাকায় গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করে। এটি স্থলভাগের অভ্যন্তরে আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় ও সমুদ্র বন্দরের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।


এ পরিস্থিতিতে মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর সমুদ্র সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার ট্রলার, নৌকায় থাকা সকলকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।


নদ-নদী বন্দরগুলোর জন্য বলা হয়েছে, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারিপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা,বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি, বজ্রবৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দরগুলোকে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত ও ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


এদিকে আগামী তিন দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শনিবার (১৮ নভেম্বর) অস্থায়ীভাবে আকাশ মেঘলাসহ সারাদেশে আবহাওয়া সাধারণত শুষ্ক থাকতে পারে।


আবহাওয়াবিদ মুহম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, এসময় রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি পর্যন্ত কমে যেতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা বর্তমান অবস্থা থেকে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে। আগামীকাল রোববার (১৯ নভেম্বর) সারাদেশে মেঘলা ভাব বিরাজ করবে। ওই সময় দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আর বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, ধীরে ধীরে ভোররাতের দিকে তাপমাত্রা কমতে থাকবে।


আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস অনুযায়ী, নভেম্বরে আর কোনো বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এ মাসে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। দেশের উত্তর ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে নদ-নদী অববাহিকায় ভোর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা অথবা মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এসময় দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোতে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজ করবে।


শেয়ার করুন