২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৫:১১:৪১ অপরাহ্ন
রুয়েটে ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন চুরির ঘটনায় সংঘবদ্ধ ৫ চোর গ্রেফতার
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০৬-২০২২
রুয়েটে ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন চুরির ঘটনায় সংঘবদ্ধ ৫ চোর গ্রেফতার

 রাজশাহী'র প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হল রুম হতে  ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন চুরির ঘটনায় সংঘবদ্ধ ৫ চোরকে গ্রেফতার করেছে আরএমপি'র মতিহার থানা পুলিশ। এসময় আসামিদের কাছ থেকে ৯ টি চোরাই ল্যাপটপ ও ৮ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়। 

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো মো: আরিফুল ইসলাম আরিফ (২৫), মো: জয় হোসেন (২২), মো: সাকির হোসেন সুইট (২৫), মো: শফিউর রহমান শাফি (২০) ও মো: তৌশিক রহমান সিয়াম (১৭)।

আজ ১৬ জুন বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় আরএমপি সদরদপ্তর কনফারেন্স রুমে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সম্মানিত পুলিশ কমিশনার জনাব মো: আবু কালাম সিদ্দিক মহোদয় এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জুন ২০২২ ভোর সাড়ে ৫ টায় রাজশাহী প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিনসেড হল রুম হতে ৩ টি ল্যাপটপ ও ৪ টি মোবাইল ফোন চুরি হয়। রুয়েটের ছাত্র মো: লুৎফুল্লাহ হিল কবির চৌধুরীর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মতিহার থানায় একটি চুরির নিয়মিত মামলা রুজু হয়।

মামলা রুজু পরবর্তীতে আরএমপি'র সম্মানিত পুলিশ কমিশনার জনাব মো: আবু কালাম সিদ্দিক মহোদয়ের নির্দেশে মতিহার থানার পুলিশের একটি টিম চুরি হওয়া ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার-সহ আসামিদের অবস্থান সনাক্তপূর্বক গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেন।

পরবর্তীতে উপ-পুলিশ কমিশনার (মতিহার) জনাব মো: মনিরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব মো: একরামুল হক পিপিএম-এর নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ আনোয়ার আলী তুহীন, এসআই মো: আমিনুর রহমান ও তার টিম রুয়েটের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি আরিফুল ইসলাম আরিফকে গ্রেফতার করেন। এসময় তার কাছ থেকে ১ টি চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়। 

গ্রেফতারকৃত আসামি আরিফের দেওয়া তথ্যমতে আসামি মো: জয় হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। জয়ের দেওয়া তথ্যমতে কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম কাঁচা বাজারে অবস্থিত কম্পিউটার এক্সেসরিজ দোকানে অভিযান পরিচালনা করে আসামি মো: সাকির হোসেন সুইট ও মো: শফিউর রহমান শাফিকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় দোকান থেকে রুয়েট হতে চুরি হওয়া ২ টি ল্যাপটপ এবং আরো ৫ টি চোরাই ল্যাপটপ উদ্ধার হয়। 

আসামি সাকির হোসেনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার দোকানের কর্মচারী আসামি মো: শফিউর রহমান ২ টি চোরাই ল্যাপটপ আরমানের কাছে বিক্রি করেছে এবং ল্যাপটপ ২ টি এসএ পরিবহন রাজশাহীর মাধ্যমে ঢাকায় প্রেরণের জন্য বুকিং করেছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এসএ পরিবহন রাজশাহী শাখা থেকে ১ টি ল্যাপটপ এবং আরো  ১ টি চোরাই ল্যাপটপ উদ্ধার হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে  অপর আসামি তৌশিক রহমান সিয়ামকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২ টি এন্ড্রয়েড ফোন উদ্ধার হয়। 

গ্রেফতারকৃত সকল আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যা, তারা রাজশাহী মহানগরীর সক্রিয় ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন চোর চক্রের সদস্য। তারা রুয়েট ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, মেস-সহ বাসা বাড়িতে ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন চুরি করে কাশিয়াডাঙ্গা থানাধীন হড়গ্রাম কাঁচা বাজারস্থ কম্পিউটার এক্সেসরিজ নামক দোকানে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে মোবাইল ও ল্যাপটপের লক খুলে বিক্রয় ডট কমে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রয় করে থাকে। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ রাজশাহী মহানগরীতে এই ধরনের কর্মকাণ্ড করে আসছে বলে জানায়। 

এ পর্যন্ত রুয়েট এর হল হতে চুরি হওয়া ৩ টি ল্যাপটপ ও ৩ টি মোবাইল ফোন সেট সহ সর্বমোট চোরাই  ৯ টি ল্যাপটপ এবং ৮ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে এবং অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রুয়েট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হল-সহ বিভিন্ন মেস থেকে যাদের ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে তাদের উপযুক্ত প্রমাণ নিয়ে মতিহার থানায় যোগাযোগ করার জন্য সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।

শেয়ার করুন