২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৫:৩০:০৬ অপরাহ্ন
রাজশাহীর ৬টি আসনেই বিএনএম থেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-১১-২০২৩
রাজশাহীর ৬টি আসনেই বিএনএম থেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা

রাজশাহীর ৬টি আসন থেকেই আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বিএনপির নেতারা। দলের পদধারী এবং পদের বাইরে থাকা নেতারা সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে এরই মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী আন্দোলন (বিএনএম) দলে যোগদান করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এরই মধ্যে কেউ কেউ মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছেন বিএনএম’র। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে অন্যরাও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবেন বলে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে। নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকও করেছেন ওই নেতারা। সর্বশেষ বুধবার দিবাগত রাতে আবারও একটি বৈঠক হয় বিএনএম’র সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে। ওই বৈঠকে বিএনপির কোন নেতা রাজশাহীর কোন আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিবেন, সেটি নির্ধারণ করা হয়। বিশেষ করে রাজশাহীর অন্তত দুটি আসন এবার ছেড়ে দিতে চাই আওয়ামী লীগ সরকার। নির্বাচনে স্বচ্ছতা আনার জন্য এবং ভোটার টানতে রাজশাহীর অন্তত দুটি আসন ছাড়তে পারে আওয়ামী লীগ। আর সেটি হলে এবার রাজশাহীর অন্তত দুজন এমপির কপাল পুড়তে পারে এবার। এমনকি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেলেও দুই-থেকে তিনটি আসনে কোনো প্রভাব রাখবে না আওয়ামী লীগ।

দলীয় সূত্র মতে, রাজশাহী-১ আসনে বিএনএম থেকে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি কর্মী তাসকিয়া বিনতে নাজীব (গ্রেসী) মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। একই দল থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার আমিনুল হকের আপন ভাই অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল শরীফ উদ্দিন বিএনএম দলে যোগদান করার প্রক্রিয়ায় আছেন। গত প্রায় ১৫ দিন আগে শরীফ উদ্দিন বিএনএমের সদস্য ফরম পূরণ করেছেন তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ দলে এখনো যোগদান করেননি। তিনি দুই-একদিনের মধ্যেই যোগদান করবেন বলে দলের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বিএনএম’র গোদাগাড়ী উপজেলা সভাপতি সামশুজ্জোহা বাবু বলেন, ‘আমিও নির্বাচনে অংশ নিতাম। কিন্তু আমাদের এ আস থেকে বিএনপির একজন বড় নেতা আমাদের দলে যোগদান করে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এ কারণে আমি তাঁকে জায়গা ছেড়ে দিচ্ছি।’

রাজশাহী-২ (সদর) আসনে বিএনএম থেকে নির্বাচনে অংশ নিবেন ব্যবসায়ী আব্দুল বারী, রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসন থেকে অংশ নিবেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাতউর রহমান মন্টু। তিনি বিএনএম’র কেন্দ্রীয় কমিটিতে আছেন। রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে বিএনএম থেকে নির্বাচনে অংশ নিবেন বাগমারার হাটগাঙ্গোপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দুর্গাপুর উপজেলার হরিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম এবং রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ণপত্র সংগ্রহ করেছে রায়হান আলী ও আব্দুস সামাদ।

দলটির রাজশাহী জেলা সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। আমাদের দল থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির অনেক নেতাই এরই মধ্যে যোগদান করেছেন। আরও অনেকেই যোগদান করার প্রক্রিয়ায় আছেন।

জানতে চাইলে বিএনএম’র সদস্য সচিব মেজর হানিফ বলেন, ‘আমরা তিনশ আসনেই প্রার্থী দিতে চাই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কতজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিবেন-তার ওপর নির্ভর করবে। রাজশাহী-১ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে সাবেক মন্ত্রী আমিনুল হকের ভাই মেজর জেনারেল শরীফ উদ্দীন বিএনএমে যোগদানের পক্রিয়ায় আছেন। দলে যোগদান করলে তিনি হয়তো নির্বাচনেও অংশ নিবেন।’

রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনকি সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন বলেন, ‘রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টু দলের সঙ্গে বেইমানী করে বিএনএমে যোগদান করেছেন বলে শুনেছি। তিনি রাজশাহী-৩ আসন থেকে নির্বাচনেও নাকি অংশ নিবেন। তবে দল এবং রাজশাহীর মানুষ তাকে ক্ষমা করবে না। 

শেয়ার করুন