সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে চলমান আন্দোলনে দুই দিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। আগামীকাল বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সর্বাত্মক অবরোধের ডাক দিয়েছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে এক ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অবরোধের ঘোষণা দেন। অবরোধ সফল করতে দলের নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
রিজভী বলেন, ‘আগামীকাল বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সর্বাত্মক অবরোধ চলবে। দেশের জনগণ অবরোধে সমর্থন দিয়েছে। আমরা জনগণের শক্তির ওপর বিশ্বাস করি। জনগণ যাদের পক্ষে থাকে, তারা কখনো পরাজিত হয় না।’
সরকার আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন করতে পারবে না জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার ভাবছে নির্বাচনী বৈতরণি পার হয়ে যাবে কিন্তু কেউ ছাড় পাবে না। শেখ হাসিনা অবাধ সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা শুনলেই বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
সরকার বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, মিথ্যা মামলা, গণগ্রেপ্তার চালিয়ে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটু আগেই খবর পেলাম মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনকে ডিবিতে রিমান্ডে নিয়ে আসা হয়েছে। সরকার কর্মীদের ভয় দেখাতে রিমান্ডে নিচ্ছে। অধিকারের মতো সংগঠনগুলো সবকিছু বলতে পারছে না। কিন্তু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কত মানুষকে গুম করা হয়েছে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দেশের রিজার্ভ তলানিতে ঠেকেছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, আজকে গার্মেন্টসশিল্পের অবস্থা করুণ, তাও সরকার নির্বিকার। গার্মেন্টসশিল্পের ওপর স্যাংশন এলে লাখ লাখ শ্রমিকের কী হবে? একের পর এক ধসে গেছে। টাকা পাচার দুর্নীতির মহাযজ্ঞে রিজার্ভ এমন পর্যায়ে যে আমদানির টাকা নেই। কিন্তু সরকার তামাশার নির্বাচনে ব্যস্ত।