২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০৮:২৮:১১ অপরাহ্ন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ আসনের ১৫ জায়গায় ভাঙচুর, মারধর, আগুন
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-১২-২০২৩
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ আসনের ১৫ জায়গায় ভাঙচুর, মারধর, আগুন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১১টি আসনের ১৫টি জায়গায় নতুন করে নির্বাচনী সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল শুক্রবারের মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।


কোথাও মারামারি হয়েছে, কোথাও প্রতিপক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে, কোথাও কোথাও প্রতিপক্ষের সভায় হামলা, নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর ও গাজীপুর সদরের আংশিক) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ ইকবাল হোসেনের পথসভায় গতকাল পাঁচটি জায়গায় হামলা হয়েছে।


নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর পাঁচ দিনে এ নিয়ে ৩৬টি সংঘাতের ঘটনা ঘটল। আগের মতো নতুন ঘটনায়ও হামলা ও মারধরের শিকার বেশি হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকেরা। 


এবারের নির্বাচনে প্রচার শুরু হয় ১৮ ডিসেম্বর থেকে। বিএনপিবিহীন এই নির্বাচনে ২৬৪টি আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী রয়েছে। এর মধ্যে শতাধিক আসনে আওয়ামী লীগের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দলের নেতারা, যাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। বাকিগুলোতে নৌকার প্রার্থীর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ২৬ ও জোট শরিকদের ৬টি আসন ছেড়েছে। নির্বাচনী প্রচারকালে সংঘাতের ঘটনা ঘটছে মূলত নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। 



গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর ও গাজীপুর সদরের আংশিক) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ ইকবাল হোসেনের পথসভায় গতকাল পাঁচটি জায়গায় হামলা হয়েছে। ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমানা আলী। বর্তমান সংসদ সদস্য ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। তাঁর কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ, গতকাল শিমলাপড়া, আক্তাপাড়া বাজার, কারওয়ান বাজার, আনন্দবাজার ও শিরিশগুড়ি নামের জায়গায় পথসভায় হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ছয়জন।


শ্রীপুরের মাওনা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নছু ভূঁইয়া আনন্দবাজার নামের একটি জায়গায় পথসভায় হামলার বিষয়ে বলেন, ‘এইখানে কোনো ট্রাক (ইকবালের প্রতীক) চলব না, বইলাই ভাঙচুর আর মারধর শুরু করে নৌকার কর্মীরা।’


যাঁদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করা হয়েছে, তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।


কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে নৌকার প্রার্থীর কর্মীদের একটি মিছিলে অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার পর বাধে দুই পক্ষের সংঘর্ষ। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের জয়বাংলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।


শেয়ার করুন