ভোটে কারচুপি ঠেকাতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বলেছি, যেকোনো মূল্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়। এই বিষয়টায় কোনো রকম বিশৃঙ্খলা যেন না হয়। শান্তি ভঙ্গ যেন না হয়।
পরিবেশটা যেন অনুকূল থাকে, যাতে ভোটার সাধারণ নির্বিঘ্নে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাধীনভাবে ভোটকেন্দ্রে এসে স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।’
গতকাল শুক্রবার যশোর শেখ হাসিনা আইসিটি পার্ক অডিটরিয়ামে ১৩ জেলার ডিসি-এসপি, ওসি, আনসার, বিজিবি কর্মকর্তাসহ নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক শেষে দুপুরে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সিইসি আরো বলেন, ‘একইসঙ্গে এই বার্তাটাও কঠোরভাবে দেওয়া হয়েছে, ভোটকেন্দ্রের ভেতরে থাকবেন প্রিজাইডিং অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ নির্বাচনী কর্মকর্তারা। কেন্দ্রের ভেতরে যেন কোনো অনিয়ম, কারচুপি, কোনো রকম দখলদারিত্ব, কোনো রকম পেশিশক্তি প্রয়োগ না হয়, সে জন্য তাদের যেন ব্যাপকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং তাদের যেন জবাবদিহি করা হয়।
এটা নিশ্চিত যেন করা হয়, এই বার্তাটুকু আমরা রিটার্নিং অফিসার যাঁরা আছেন তাঁদের দেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং অফিসারকে কিন্তু মূল দায়িত্বটা পালন করতে হবে। উনারাই ইলেকশন কমিশন, উনারাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় যে হামলার ঘটনা ঘটছে সেগুলো তদন্ত করা হচ্ছে।
প্রতিবেদন পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
‘ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের কথা ঝেড়ে ফেলুন’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রার্থীরা আচরণবিধি মানছেন না বলে অভিযোগ আনলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভা ও মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি দুই মিনিটের পথ হেঁটে এখানে (জেলা প্রশাসকের কার্যালয়) এসেছি। তখন দেখলাম যেসব প্রার্থী এসেছেন, তাঁদের কারো গাড়িতে আঠা দিয়ে পোস্টার লাগানো। কিন্তু এটা আপনারা করতে পারেন না।
’ তিনি আরো বলেন, ‘ভোট প্রতিহত করার ঘোষণার বিষয়টি একেবারে ফেলে দেওয়া হবে না। ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের কথা যাঁরা মাথায় নিয়ে রেখেছেন, সেটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিন।’
মতবিনিময়সভায় কয়েকজন প্রার্থী, তাঁদের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ছাড়াও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, বিজিবির ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিক হাসান উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
