২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৫:২৭:৩৫ অপরাহ্ন
আ. লীগের নির্বাচনী ইশতেহার: শিক্ষকদের বেতন কমিশন আটকে প্রতিশ্রুতিতেই
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-১২-২০২৩
আ. লীগের নির্বাচনী ইশতেহার: শিক্ষকদের বেতন কমিশন আটকে প্রতিশ্রুতিতেই

বেতন নিয়ে সব পর্যায়ের শিক্ষকদের রয়েছে ক্ষোভ ও হতাশা। আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে শিক্ষকদের জন্য উচ্চতর বেতন কাঠামো ও স্থায়ী বেতন কমিশন গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ২০১০ সালের শিক্ষানীতিতেও স্থায়ী বেতন কমিশন গঠনের বিষয়টি রয়েছে। ২০১৪ সালের ইশতেহারেও একই প্রতিশ্রুতি ছিল আওয়ামী লীগের। তবে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, শিক্ষায় আরও বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। নাহলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, শিক্ষকদের বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াতে হবে। তা না হলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসবে না। এর বিরূপ প্রভাব পড়বে গোটা শিক্ষাব্যবস্থায়।


বেতনের বিষয় ছাড়াও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে প্রাথমিক স্তরে ভর্তির হার ১০০ শতাংশ করা, ২০১৪ সালের মধ্যে দেশকে নিরক্ষরমুক্ত করা, পর্যায়ক্রমে স্নাতক পর্যন্ত শিক্ষাকে অবৈতনিক সেবায় পরিণত করা, স্বতন্ত্র কর্মকমিশন গঠনের প্রতিশ্রুতি ছিল। ২০১৪ সালের ইশতেহারে প্রাথমিক শিক্ষার স্তর অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত এবং অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করার কথাও বলা হয়েছিল। এগুলোও বাস্তবায়ন হয়নি।


প্রবীণ শিক্ষক নেতা কাজী ফারুক বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, দীর্ঘদিনেও শিক্ষকদের পৃথক বেতন স্কেল ও স্থায়ী বেতন কমিশন গঠনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি। এ নিয়ে ক্ষোভও জানান তিনি।


বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বাশিস) সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র মো. নজরুল ইসলাম রনি বলেন, শিক্ষকসমাজ আর্থিকসহ নানা ধরনের বৈষম্যের শিকার। তাই মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে অবশ্যই শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ ও ২০১০ সালের শিক্ষানীতির আলোকে আলাদা বেতন কাঠামো করতে হবে।


শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনা প্রয়োজন হয়। এসব ক্ষেত্রে নির্দেশনা ছিল না।


এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ধরেননি।


গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভর্তি ও সাক্ষরতার হারে আমাদের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তবে স্বাধীনতার ৫২ বছরেও দেশ নিরক্ষরমুক্ত না হওয়া দুঃখজনক। এ জন্য আমাদের বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে। শিক্ষায় শুধু প্রকল্পভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনা করলে শতভাগ সাফল্য আসবে না।’


শেয়ার করুন