২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ১০:০০:৪৩ পূর্বাহ্ন
কেন্দ্রে ভোটার নেওয়া চ্যালেঞ্জ হবে
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-১২-২০২৩
কেন্দ্রে ভোটার নেওয়া চ্যালেঞ্জ হবে

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৯ আসনে (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ছাড়া প্রচারণা মাঠে অন্যদের তেমন চোখে পড়ছে না। যদিও নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে নৌকার প্রার্থী ঘুরে বেড়াচ্ছেন অলিগলি। তবে নৌকা প্রতীকের বিপরীতে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে তেমন উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে না। এ কারণে আসনটিতে কেন্দ্রে ভোটার নেওয়া চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ৫০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন।


সরেজমিন নগরীর নিউমার্কেট, বহদ্দারহাট, খাতুনগঞ্জ ও বাকলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, অলিগলি ও প্রধান সড়কে নৌকা প্রার্থীর পোস্টার-ব্যানারের আধিক্য। দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার খ্যাত শাহ আমানত সেতু এলাকায়ও দেখা গেছে একই দৃশ্য। কোথাও কোথাও নৌকার পোস্টার-ব্যানারের ফাঁকে ফাঁকে ন্যাপের মিটল দাশগুপ্তের কুঁড়েঘর, ওয়াহেদ মুরাদের চেয়ার ও তৃণমূল বিএনপির সুজিত সরকারের সোনালী আঁশ প্রতীকের পোস্টার-ব্যানার চোখে পড়লেও দেখা যায়নি নির্বাচনি ক্যাম্প। অন্যদিকে নিউমার্কেট আন্দরকিল্লা, জামালখান এলাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছাড়াও ইসলামী ফ্রন্টের মোমবাতি ও ইসলামিক ফ্রন্টের চেয়ার প্রতীকের দুটি পৃথক প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে। তবে আসনের প্রতিটি ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রয়েছে নৌকা প্রার্থীর নির্বাচনি ক্যাম্প। নির্বাচনি আমেজ নিয়ে জানতে চাইলে বাকলিয়া রাজাখালী এলাকার বাসিন্দা মো. মাসুদ বলেন, ‘নগরীর অন্যান্য আসনে নৌকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেও চট্টগ্রাম-৯ আসনে তা নেই। এ কারণে ভোট নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও তেমন উৎসাহ বা আগ্রহ নেই।’


সূত্র জানায়, ১৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের সিনিয়র্স ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন নৌকার প্রার্থী মহিবুল হাসান নওফেল। মঞ্চে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এতে উপস্থিত হয়েছিলেন একই আসনের ন্যাপের কুঁড়েঘর মার্কার প্রার্থী মিটুল দাশগুপ্ত। নৌকার প্রার্থীর মতবিনিময় সভায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী যোগ দেওয়ায় এ নিয়ে নানা সমালোচনা হয়। নিজের মতবিনিময় সভায় ন্যাপের প্রার্থীর হাজির থাকা প্রসঙ্গে নওফেল গণমাধ্যমে বলেন, ন্যাপের প্রার্থীকে দাওয়াত দিয়েছেন। ১৪ দলের ন্যাপ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী আছেন। প্রগতিশীল সংগঠন থেকে প্রার্থী থাকা ইতিবাচক।


শুক্রবার নগরীর ১৬নং চকবাজার ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে ভোটারদের উদ্দেশে মহিবুল হাসান নওফেল বলেন, ‘কোনো সন্ত্রাসী দল ও যুদ্ধাপরাধী দল না এলেও নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবেই। এ কারণে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে ব্যাপকভাবে উপস্থিত হয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ এবং নৌকার পক্ষে রায় দিয়ে প্রমাণ করতে হবে বাংলাদেশে কোনো অগ্নিসন্ত্রাসী ও যুদ্ধাপরাধীদের স্থান নেই।’


চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৫-২৩ এবং ৩১-৩৫নং ওয়ার্ড নিয়ে চট্টগ্রাম-৯ সংসদীয় আসন গঠিত। দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম শাখা, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, আদালত ভবন, চট্টগ্রাম কারাগারসহ প্রশাসনিক ও বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র এই আসনের অন্তর্ভুক্ত। বাকি ছয় প্রার্থী হলেন-জাতীয় পার্টির প্রার্থী সানজীদ রশীদ চৌধুরী (লাঙ্গল), ইসলামী ফ্রন্টের আবু আজম (মোমবাতি), ইসলামিক ফ্রন্টের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার), ন্যাপের মিটল দাশগুপ্ত (কুঁড়েঘর), কল্যাণ পার্টির মোহাম্মদ নূরুল হুসাইন (হাতঘড়ি) ও তৃণমূল বিএনপির সুজিত সরকার (সোনালী আঁশ)। এ আসনে ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ১৭ হাজার ৯৪৭ জন।


শেয়ার করুন