দেশের আকাশে ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম এবং রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান ওড়াতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। এসব ওড়ানো রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত; যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সোমবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
এতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কিছু উৎসাহী ব্যক্তি, বেসামরিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার বিনা অনুমতিতে দেশের আকাশসীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম, রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও ফানুস ওড়াচ্ছে। বিমান বাহিনী ঘাঁটি ও বিমান উড্ডয়ন এলাকায় লেজার রশ্মি অথবা হাইপাওয়ার টর্চ লাইট বিমান ও হেলিকপ্টারের দিকে লক্ষ্য করে ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। এ ছাড়া ঘুড়ি, ফানুস ও ড্রোন ওড়ানো এবং লেজার রশ্মি নিক্ষেপ বিমান ও হেলিকপ্টারের উড্ডয়নের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ব্যক্তি, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম, রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান ইত্যাদি উড্ডয়নের ন্যূনতম ৪৫ দিন আগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে প্রদত্ত ফরম অনুযায়ী অনুমতি নিতে হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে সবাইকে বিমান উড্ডয়ন এলাকার কাছাকাছি ঘুড়ি, ফানুস ও ড্রোন ওড়ানো এবং লেজার রশ্মি ও হাইপাওয়ার টর্চ লাইট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হয়েছে।