রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে নির্বাচনে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রেষারেষিতে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে একে অপরকে দোষারোপ করে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে অস্বস্তিতে পড়েছেন বাঘা ও চারঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
নৌকার দলীয় প্রার্থী বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি এবং মনোনয়ন বঞ্চিত কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য রাহেনুল হক রায়হানের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ এখন প্রকাশ্যে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারী) রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে বাঘা ও চারঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়েছে। নির্বাচনে পরাজিত হয়ে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তার অনুসারীরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নৌকা প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট সাইফুল ইসলাম বাদশা, চারঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম, বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, সাংগাঠনিক সংম্পাদক ওয়াহিদ সাদিক কবির প্রমূখ।
এদিকে বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নতুনভাবে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য রাহেনুল হক রায়হান।
সংবাদ সম্মেলনে রাহেনুল হক রায়হান দাবি করে বলেন, ভোটে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে । আমি সন্তুষ্ট নয়, আমি মনে করি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী কালো টাকা ব্যবহার করেছেন।
এ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়ে ১ লাখ ১ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন শাহরিয়ার আলম। মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কাঁচি প্রতীকে ৭৪ হাজার ২৭৮ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন রাহেনুল হক রায়হান।