২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:৩০:২৬ অপরাহ্ন
রাজশাহীতে কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০১-২০২৪
রাজশাহীতে কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা

রাজশাহীর ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কনকনে ঠান্ডায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজশাহীতে বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ভোর ৬টা ও সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মাঘের শুরুতে ঘন কুয়াশার সঙ্গে হাড় কাঁপানো ঠান্ডাতেও স্কুলে যোতে হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। এমন অবস্থায় শিক্ষার্থীরা পড়েছে বিপাকে। বিভিন্ন স্থানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা হলেও রাজশাহীতে এখনো এমন কোন ঘোষণা আসেনি।

জানা গেছে, জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে এমন নির্দেশনা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিকে রাজশাহীতে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে না নামলেও তিব্র শীতে অস্থিত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পড়েছে সবচেয়ে বেশি বিপাকে। সকালে ঘুম থেকে উঠে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে প্রচন্ড ঠান্ডায় কাহিল হতে হচ্ছে তাদের। সেই সাথে যোগ হচ্ছে শিক্ষার্থী অভিভাবকদেও।

শিক্ষার্থী অভিভাবকরা মনে করছেন, এমন শীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১০ ডিগ্রির দিকে না তাকিয়ে অন্তত এক সপ্তাহের জন্য হলেও ছুটি দেওয়া অত্যান্ত জরুরী। তা নাহলে এ ছোট কোচিকাচা বাচ্চাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া আশার মাঝে শীতজনিত রোগে আক্রন্ত হতেই থাকবে। তারা আরোও বলেন, প্রতিষ্ঠানের ইউনিফর্ম ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। ইউনিফর্মের যে সোয়েটার রয়েছে তা একে বারেই হালকা। এমন কড়া শীতে এমন পোষাক পরে প্রতিষ্ঠানে শিশুদের যাওয়াটা অনেক কষ্টসাধ্য। ফলে কনকনে ঠান্ডায় স্কুলে যাচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। সিংগা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী নেহারিকা আক্তার বলেন, খুব ঠান্ডা, স্কুলে যেতে কষ্ট হচ্ছে। এমন ঠান্ডায় তবুও স্কুলে এসেছি। স্কুলে আসলেও ঠান্ডায় পড়ায় মন বসছে না।
সরকারি (পিএন) স্কুলের তৃতীয় শ্রণীর শিক্ষার্থী সুবর্ণা জামাল খাদিজা বলেন, প্রচুর শীত আর ঠান্ডা। ঘুম থেকে উঠতে মন চায় না স্কুলে যেতে। এত ঠান্ডায় স্কুলেও পাতলা ইউনিফর্ম পরে স্কুলে যেতে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়।

শিক্ষার্থী অভিভাবক ওমর ফারুক বলেন, জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে এমন ঘোষণা দিয়েছে সরকার। আমাদের রাজশাহীতে গত এক সপ্তাহ আগে ৯.৬ ডিগ্রি তাপমাত্র ছিলো। তখনতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়নি। এমন আবহাওয়ায় বিদ্যালয় বন্ধ দেওয়া উচিত। তা না হলে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়বে।

শেয়ার করুন