মহাবিপদে পড়েছে মিয়ানমারের জান্তা। বিদ্রোহীদের আক্রমণে দিশেহারা। একের পর এক ঘাঁটি হারাচ্ছে। প্রাণভয়ে রণক্ষেত্র ছেড়ে পালাচ্ছে। কয়েক মাস ধরেই দেশটির মিজোরাম সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার খবরে হুল্লোড় পড়েছিল মিয়ানমারের বিদ্রোহী শিবিরে।
আনন্দ-উৎসবে এবার আঁতশবাজি হয়ে ফুটল নতুন আরেক বিজয়ের খবর-শুধু ভারত নয়, চীনেও পালিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমারের সেনারা। বিদ্রোহী দল কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) সঙ্গে লড়াইয়ে টিকতে না পেরে চীনে পালিয়ে গেছে দেশটির কয়েকজন জান্তা।
রোববার কাচিন রাজ্যে চীন সীমান্তের কাছে দুই দলের সংঘর্ষে এমন ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়। দ্য ইরাবতী।
ফেসবুকে একটি ভিডিওতে দেখা যায়, প্রায় ১৭ জন সৈন্য ছোট অস্ত্র হাতে শোয়েলি নদী পার হয়ে চীনে যাচ্ছে। তবে পলাতক সেসব সদস্যকে সোমবার উত্তর শান রাজ্যের মিউজ সীমান্তে জান্তা সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে চীন। সংবাদ সংস্থা ইরাবতী অবশ্য তথ্যগুলো স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি। এ বিষয়ে কেআইএ’র মুখপাত্র কর্নেল নাও বু দ্য বলেছেন, ব্যাটালিয়ন ৪২৪-এর একজন ডেপুটি ব্যাটালিয়ন কমান্ডারসহ প্রায় ৩০ জন সৈন্যকে ‘ম্যান ওয়েইন গি’ গ্রামে বন্দি করা হয়েছে এবং তারা এখনো হেফাজতে রয়েছে।
অন্যদিকে বিদ্রোহীদের কাছে আত্মসমর্পণ করায় তিন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত থ্রি ব্রাদার্স অ্যালায়েন্সের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন ওই তিন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। একই অভিযোগে আরও তিন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ভারতে পালাচ্ছে মিয়ানমারের সেনারা, উদ্বিগ্ন মিজোরাম
তাদের মধ্যে লাউক্কাই সেনাঘাঁটির প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোয়ে কায়াও থু, কোকাং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনিক প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তুন তুন মিন্ত এবং কোকাংয়ের ৫৫তম ডিভিশনের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জও মায়ো উইনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই তিন জেনারেল বর্তমানে ইয়াঙ্গুনের ইনসেইন কারাগারে বন্দি।