আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে রপ্তানি পণ্যে নগদ প্রণোদনা সুবিধা পর্যায়ক্রমে তুলে নিতে চায় সরকার। এ জন্য নতুন কোনো প্রতিষ্ঠানকে নগদ প্রণোদনার তালিকাভুক্ত করছে না অর্থ বিভাগ। এতে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে নতুন রপ্তানিকারকদের। এই পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে দেশীয় পণ্যের চাহিদা খোঁজার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পর গতকাল বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ও অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, বৈঠকের বিষয়ে কোনো কথা বলা যাবে না। কোনো তথ্য দিতে পারব না।
তিনি বলেন, কোনো কিছু জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। দেখেন উনি কিছু বলেন কি না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারকে মোবাইলে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, ২০২৬ সালে এলডিসি উত্তরণের পরে বাংলাদেশের শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা হারানোর কথা রয়েছে।
এরপর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশকেও শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা ছাড়াই ব্যবসা-বাণিজ্য করতে হবে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী রপ্তানি পণ্যের জন্য নগদ প্রণোদনা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। নগদ প্রণোদনা বন্ধ হওয়ার পর কিভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকা যায়, সে বিষয়ে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দেশীয় পণ্যের চাহিদাটা খুঁজে বের করতে এবং উৎপাদন বাড়াতে হবে। প্রত্যেকটি কূটনৈতিক মিশনের কর্মকর্তাদের এ বার্তা পৌঁছানোর কথা বলেছেন।