২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০২:৩৯:৪৭ অপরাহ্ন
বিইউ-১ উচ্চ ফলনশীল আগাম সরিষার জাত উদ্ভাবন
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩১-০১-২০২৪
বিইউ-১ উচ্চ ফলনশীল আগাম সরিষার জাত উদ্ভাবন

গাছ হয় মাঝারি আকৃতির এবং তুলনামূলক মোটা ও শক্ত। এ কারণে গাছ সহজে মাটিতে ঢলে পড়ে না। ফলন হয় বেশি। বিইউ-১ নামে উচ্চ ফলনশীল আগাম সরিষার এ জাত উদ্ভাবন করেছেন গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের আশা, এ জাতের সরিষা চাষ করে কৃষকরা লাভবান হবেন।


দেশে উৎপাদিত ভোজ্যতেলের প্রায় ৬০ শতাংশ আসে সরিষা থেকে এবং এটিই আমাদের ভোজ্যতেলের প্রধান ফসল। সরিষা চাষ পদ্ধতি উন্নয়ন এবং ফলন বৃদ্ধি করতে নানা প্রচেষ্টা রয়েছে দেশের বিজ্ঞানীদের। এ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এবার তারা উদ্ভাবন করেছেন বিইউ-১ জাতের সরিষা।


গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ড. একেএম আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের উদ্ভাবিত জাতটি আগাম ও উচ্চ ফলনশীল। সরিষা চাষে এ জাতটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আগাম জাত হওয়ায় দেশের কৃষকরা অন্যান্য ফসলের গ্যাপে এটি চাষ করতে পারবেন। ফলে জমি পতিত থাকবে না।


কৃষি বিজ্ঞানীরা জানান, স্বল্প মেয়াদি এ জাতের জীবনকাল ৮০-৮৫ দিন। প্রতি গাছে পডের সংখ্যা ১৫০-২০০টি ও প্রতি পডে বীজের সংখ্যা ২৫-৩০টি। বীজ বাদামি রঙের, ১০০০ বীজের গড় ওজন ৩.৭৫ গ্রাম। অল্টারনারিয়া রোগ সহনশীল। হেক্টরপ্রতি ফলন ১.৮ থেকে ২.০ টন। বাংলাদেশে সরিষার প্রধান প্রধান উৎপাদন এলাকা এ জাতটি চাষের জন্য উপযোগী।


সরিষা বীজে ৩৮-৪৪ শতাংশ তেল থাকে। তা ছাড়া সরিষা বীজ থেকে তেল বের হওয়ার পর যে খৈল (প্রায় ২৫ শতাংশ) পাওয়া যায় তা গৃহপালিত পশুর জন্য পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। খৈলে প্রায় ৪০ শতাংশ আমিষ থাকে। বাংলাদেশে প্রায় ৫ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে তেল বীজ উৎপাদন হয়ে থাকে। অথচ তেল বীজ চাষের উপযোগী জমির পরিমাণ প্রায় ১০ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর। অঞ্চল ভেদে রোপা আমন বা বোনা আমন ফসল তোলার পর স্বল্প মেয়াদি বা আগাম সরিষার জাত চাষ করা যায়।


শেয়ার করুন