২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৪:৫৪:২০ অপরাহ্ন
পাঁচ পণ্যের শুল্ক কমাতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০২-২০২৪
পাঁচ পণ্যের শুল্ক কমাতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে

পাইকারি থেকে ভোক্তা পর্যায়ে সরবরাহ চেইন স্বাভাবিক করতে পারলে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না বলে মনে করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেছেন, পণ্যের মজুত পর্যাপ্ত। চাহিদার চেয়ে চাল বেশি আছে হাতে। রমজান উপলক্ষে ভারত সরকার পেঁয়াজ ও চিনি সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছে। এই দুটিসহ পাঁচ নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়াতে আমদানি শুল্ক কমানোরও পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। 


গতকাল রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ইআরএফ-বিসিসিআই রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক

রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) এবং চায়না বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিসিআই) যৌথ উদ্যোগে এ পুরস্কার

দেওয়া হয়।  


অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশে চীন দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সিলর অ্যান্ড ডেপুটি চিফ অব মিশন ইয়ান হুয়ালং, এফবিসিসিআইর সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম, বিসিসিআই সভাপতি গাজী গোলাম মর্তুজা ও ইআরএফের সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। 

নিত্যপণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ রাখা প্রসঙ্গে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ইতোমধ্যে কয়েকটি পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানোর বিষয়টি বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। শিগগির এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রজ্ঞাপন জারি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।


এ ছাড়া দেশেই এসব পণ্যের উৎপাদন বাড়ানোর প্রয়োজনীয় নীতি গ্রহণ করা হচ্ছে। মোট কথা ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করছেন তারা। 

চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি প্রসঙ্গে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, দেশটির সঙ্গে  দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে বড় ব্যবধান রয়েছে; যা প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলারের মতো। কেবল আম আর সবজি রপ্তানি করে এই ব্যবধান কোনো দিন ঘুচবে না। যেসব পণ্য আমদানি করা হয় সেসব পণ্য বাংলাদেশে উৎপাদনে চীনের বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। 

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে ১৭ জন সাংবাদিককে পুরস্কার দেওয়া হয়।


শেয়ার করুন