২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৫:৪৪:৫১ অপরাহ্ন
রাসিক নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের তথ্য প্রকাশ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৬-২০২৩
রাসিক নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের তথ্য প্রকাশ

আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিত রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন উপলক্ষে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের রাসিক নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, সম্পদ ও আয়ের হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৪ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ২ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর, ১ জনের স্নাতক এবং ১ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। স্নাতকোত্তর স¤পন্ন করা মেয়র প্রার্থীরা হলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুরশিদ আলম এবং জাকের পার্টির ে লতিফ আনোয়ার। স্নাতক স¤পন্ন মেয়র প্রার্থী হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘরে উল্লেখ করেছেন তিনি স্বাক্ষও জ্ঞানস¤পন্ন।

এবার মোট ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডের ১১২ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৩৫ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। ২২ জনের এসএসসি, ২২ জনের এইচএসসি, ২৩ জনের স্নাতক এবং ১০ জনের স্নাতকোত্তর।
১০টি সংরক্ষিত আসনে ৪৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ২০ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। ৭ জনের এসএসসি, ৭ জনের এইচএসসি, ৪ জনের স্নাতক এবং ৮ জনের স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী।

মোট ১৬২ জন প্রার্থীর মধ্যে ৮৫ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি ও এর নিচে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি অতিক্রম করেননি এমন প্রার্থীর সংখ্যা ৫৬ জন। অপরদিকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী প্রার্থীর সংখ্যা ৪৮ জন।

২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করে দেখা যায়, ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের নির্বাচনে স্বল্পশিক্ষিত প্রার্থীর (এসএসসি ও তার নিচে) হার কমেছে। ২০১৮ সালে ছিল ৫৪.৩৭%, যা এবার ৫২.৩৭%। অপরদিকে উচ্চ শিক্ষিত (স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী) প্রার্থীর হার কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮ সালের ২৫.৩৪% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ সালের নির্বাচনে এই হার দাড়িয়েছে ২৯.৬৩%। স্বল্পশিক্ষিত প্রার্থীর হার হ্রাস পাওয়া এবং উচ্চ শিক্ষিত প্রার্থীর হার বৃদ্ধি পাওয়া নিঃসন্দেহে ইতিবাচক।

এদিকে, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৪ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ২ জন আইনজীবী, ১ জন ব্যবসায়ী এবং ১ জনের পেশা টিউশনি ও ধর্মীয় আলোচনা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার আইনজীবী, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন ব্যবসায়ী এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুরশিদ আলমের পেশা টিউশনি ও ধর্মীয় আলোচনা।

এছাড়াও ১১২ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৮৩ জনের পেশা ব্যবসা। এছাড়াও রয়েছেন ১২ জন কৃষিজীবী, ৮ জন চাকরিজীবী এবং ২ জন আইনজীবী। সংরক্ষিত আসনের ৪৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৩২ জনই গৃহিণী। ১১ জনের পেশা ব্যবসা। ১ জন আছেন চাকুরিজীবী।

তিনটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ১৬২ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯৫ জনের পেশা ব্যবসা। এছাড়াও ৩২ জন গৃহিনী, ১২ জন কৃষিজীবী ও ৯ জন চাকুরিজীবী। প্রার্থীদের মধ্যে আইনজীবী আছেন ৪ জন।

২০১৮ সালের নির্বাচনের সাথে তুলনা করলে দেখা যায়, এবারের নির্বাচনে ব্যবসায়ীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার হার গতবারের চেয়ে বেশি। ২০১৮ সালে প্রার্থীদের মধ্যে ব্যবসায়ীর হার ছিল ৪৮.৩৮%; এবারের নির্বাচনে তা দাড়িয়েছে ৫৮.৬৪%-এ।

বিশ্লেষণে অন্যান্য নির্বাচনের মত রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য লক্ষ করা যাচ্ছে। এই প্রবণতা নির্বাচনে অর্থের ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষণ বলে অনেকে মনে করেন। পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান ব্যবসায়ীদের আধিক্য এবং অন্যান্য পেশার প্রতিনিধিত্ব হ্রাস পাওয়া ইতিবাচক নয়। একইসাথে তা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্যও মঙ্গলজনক নয়।

১. মামলা সংক্রান্ত তথ্য:

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৪ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে শুধুমাত্র ১ জনের বিরুদ্ধে অতীতে ফৌজদারি মামলা সংশ্লিষ্টতা ছিল। তিনি হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। তাঁর বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো ফৌজদারি মামলা না থাকলেও অতীতে ২টি মামলা ছিল, যা রাষ্ট্র কর্তৃক প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সাধারণ ওয়ার্ডেও ১১২ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৪২ জনের বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা চলমান রয়েছে। অতীতে মামলা ছিল ৪১ জনের বিরুদ্ধে। বর্তমানে মামলা আছে এবং অতীতেও মামলা ছিল এমন প্রার্থী আছেন ২১ জন। কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে বর্তমানে ১৩ জনের বিরুদ্ধে এবং অতীতে ৬ জনের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় মামলা ছিল। বর্তমানে ৩০২ ধারায় মামলা আছে এবং অতীতেও মামলা ছিল এমন প্রার্থী আছেন ১ জন।

৪৬ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ২ জনের বিরুদ্ধে বর্তমানে ফৌজদারি মামলা আছে। অতীতে মামলা ছিল ২ জনের বিরুদ্ধে।

তিনটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সর্বমোট ১৬২ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪৪ জনের বিরুদ্ধে বর্তমানে ফৌজদারি মামলা আছে, ৪৪ জনের বিরুদ্ধে। অতীতে মামলা ছিল এবং ২১ জনের বিরুদ্ধে উভয় সময়ে মামলা আছে বা ছিল। ৩০২ ধারায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা আছে এবং ৬ জনের বিরুদ্ধে। অতীতে মামলা ছিল। বর্তমানে ৩০২ ধারায় মামলা আছে এবং অতীতেও মামলা ছিল এমন প্রার্থী আছেন ১ জন।

২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের তুলনায় ২০২৩ সালের নির্বাচনে ফৌজদারি মামলা সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান মামলার হার হ্রাস পেয়েছে। ২০১৮ সালে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বর্তমান মামলা ছিল ৩১.৩৩%, এবারের নির্বাচনে তা ২৭.১৬%। এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের মধ্যে অতীত মামলা সংশ্লিষ্টতা হার বিগত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীদের চেয়ে অধিক। ২০১৮ সালে অতীত মামলার হার ছিল ২১.১৯%; এবারে তা দাড়িয়েছে ২৭.১৬%।

প্রার্থী ও নির্ভরশীলদের বাৎসরিক আয় সংক্রান্ত তথ্য:

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৪ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনের নিজের ও নির্ভরশীলদের আয় বছরে ৫ লক্ষ টাকার কম এবং ১ জনের ৫ কোটি টাকার অধিক। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বছরে সর্বোচ্চ ৬ কোটি ৮ লাখ ১০ হাজার টাকা আয় করেন। মেয়র প্রার্থী মুরশিদ আলমের আয় ৩৩০০০০টাকা, সাইফুল ইসলাম স্বপনের ৩০০০০০ টাকা ও লতিফ আনোয়ারের আয় ৩০০০০০টাকা।

সাধারণ ওয়ার্ডের ১১২ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৮২ জন বছরে ৫ লক্ষ টাকার কম আয় করেন (আয় উল্লেখ না করা ১ জনসহ)। বছরে ৫ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা আয় করেন ২৬ জন। ২ জনের বাৎসরিক আয় ২৫ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা। বছরে ১ কোটি টাকার অধিক আয় করেন ২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী। দেখা গেছে কাউন্সিলরের মধ্যে ১নং ওয়ার্ডেও প্রার্থী রজব আলী সর্বোচ্চ আয় করেন ৪০০৬৭৭৪৫ টাকা, আর সর্বনিম্ন আয় ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম বাবুর ১৮১৩৩৩৫ টাকা। সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে সর্বোচ্চ আয় সামসুন নাহারের ১৬৪৬৬৫২ টাকা ও সর্বনিম্ন আয় মমতাজ মহল ৬৬০৪৫০ টাকা।

সংরক্ষিত আসনের ৪৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩৯ জনের বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকার কম (আয় উল্লেখ না করা ৮ জনসহ)। ৫ লক্ষ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা আয় করেন ৭ জন (১৫.২২%)।

তিনটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ১৬২ জন প্রার্থীর মধ্যে ১২৪ জনের বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকার কম (আয় উল্লেখ না করা ৯ জনসহ)। বছরে কোটি টাকার অধিক আয় করেন ৩ জন। প্রার্থীদের মধ্যে তিন চতুর্থাংশের অধিক স্বল্প আয়ের।

২০১৮ সালের নির্বাচনের তুলনায় ২০২৩ সালের নির্বাচনে স্বল্প আয়ের প্রার্থীর হার কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। ২০১৮ সালে এই হার ছিল ৮২.০২%, এই নির্বাচনে তা হ্রাস পেয়ে হয়েছে ৭৬.৫৪%। ২০১৮ সালে কোটি টাকার অধিক উপার্জনকারী কোনো প্রার্থী না থাকলেও এবারের নির্বাচনে ৩ জন (১.৮৫%) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বিশ্লেষণে বলা যায় যে, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় স্বল্প আয়ের প্রার্থীদের অংশগ্রহণ হ্রাস পাচ্ছে এবং পাশাপাশি অধিক আয়ের প্রার্থীদের অংশগ্রহণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্লেষণ থেকে একথা বলা যায়, ধীরে ধীরে টাকাওয়ালাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রার্থী ও নির্ভরশীলদের সম্পদের তথ্য

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৪ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ২ জনের স¤পদের পরিমাণ ৫ লক্ষ টাকার কম, ১ জনের ৫ লক্ষ থেকে ২৫ লাখ টাকার মধ্যে এবং ১ জনের ৫ কোটি টাকার ওপরে। মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স¤পদ রয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের (৭ কোটি ৯০ লক্ষ ৪৪ হাজার ৮৯ টাকা)। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুরশিদ আলম (১২ লক্ষ টাকা)।

১১২ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৪৫ জন স্বল্প স¤পদের অর্থাৎ ৫ লক্ষ টাকার কম মূল্যমানের স¤পদের মালিক। ৫ লক্ষ থেকে ২৫ লক্ষ টাকার স¤পদ রয়েছে ৪৫ জনের, ২৫ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ টাকার স¤পদ রয়েছে ৮ জনের, ৫০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকার স¤পদ রয়েছে ৬ জনের, ১ কোটি থেকে ৫ কোটি টাকার স¤পদ রয়েছে ৩ জনের এবং ৫ কোটি টাকার অধিক স¤পদ রয়েছে ২ জনের । উল্লেখ্য, ৩ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী স¤পদের তথ্য দেননি।

৪৬ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৩১ জনের স¤পদ ৫ লক্ষ টাকার কম। ৫ লক্ষ টাকা থেকে ২৫ লক্ষ টাকা মূল্যের স¤পদ আছে ১১ জন প্রার্থীর। ২৫ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ টাকার স¤পদ রয়েছে ৩ জনের এবং ৫০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকার স¤পদ রয়েছে ১ জনের।

তিনটি পদের সর্বমোট ১৬২ জন প্রার্থীর মধ্যে ৭৮ জন ৫ লক্ষ টাকার কম স¤পদের মালিক। ৫ লক্ষ থেকে ২৫ লক্ষ টাকার স¤পদ রয়েছে ৫৭ জনের, ২৫ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ টাকার স¤পদ রয়েছে ১১ জনের, ৫০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকার স¤পদ রয়েছে ৭ জনের, ১ কোটি থেকে ৫ কোটি টাকার স¤পদ রয়েছে ৩ জনের এবং ৫ কোটি টাকার অধিক স¤পদও রয়েছে ৩ জন প্রার্থীর। উল্লেখ্য, ৩ জন প্রার্থী স¤পদের তথ্য দেননি। এই ৩ জনকে বিবেচনায় নিলে স্বল্প স¤পদের অধিকারীদের সংখ্যা ৮১ জন।

২০১৮ সালের নির্বাচনের তুলনায় কম স¤পদের মালিকদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার হার হ্রাস পেয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ৫ লক্ষ টাকার কম স¤পদের মালিক ছিল ৬৭.২৮% প্রার্থী ছিলেন, এবারের নির্বাচনে এই হার ৫০% (স¤পদের ঘর পূরণ না করা প্রার্থীসহ)। অপরদিকে কোটিপতির হার এই নির্বাচনে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত নির্বাচনে কোটিপতির হার ১.৮৪% থাকলেও, এবারের নির্বাচনে তা হয়েছে ৩.৭০%।

বিশ্লেষণে বলা যায়, এই নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় স্বল্প স¤পদের মালিকদের হার যেমন হ্রাস পেয়েছে, তেমনই অধিক স¤পদের মালিকদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রার্থীদের স¤পদের হিসাবের যে চিত্র উঠে এসেছে, তাকে কোনোভাবেই স¤পদের প্রকৃত চিত্র বলা যায় না। কেননা, প্রার্থীদের মধ্যে অধিকাংশই প্রতিটি স¤পদের মূল্য উল্লেখ করেন না, বিশেষ করে স্থাবর স¤পদের। আবার উল্লেখিত মূল্য বর্তমান বাজার মূল্য না; এটা অর্জনকালীন মূল্য। বিষয়টি স¤পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরেও আমরা হলফনামার ভিত্তিতে শুধুমাত্র মূল্যমান উল্লেখ করা স¤পদের হিসাব অনুযায়ী তথ্য তুলে ধরলাম। অধিকাংশ প্রার্থীর স¤পদের পরিমাণ প্রকৃত পক্ষে আরও অনেক বেশি বলে আমরা মনে করি। প্রকৃত স¤পদের চিত্র তুলে ধরতে হলে তথ্যের ছকটি অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা দীর্ঘদিন থেকেই নির্বাচন কমিশনকে বলে আসছি।

দায়-দেনা সংক্রান্ত তথ্য:

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৪ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ১ জনের দায়-দেনা রয়েছে। তিনি হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। তাঁর দায়-দেনার পরিমাণ ২০ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

১১২ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ১৪ জনের দায়-দেনা আছে। এই ১৪ জনের মধ্যে কোটি টাকার অধিক দায়-দেনা রয়েছে ১ জনের। ৪৬ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনের (৬.৫২%) দায়-দেনা রয়েছে।

সর্বমোট ১৬২ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জনের দায়-দেনা রয়েছে। এই ১৮ জনের মধ্যে কোটি টাকার অধিক দায়-দেনা রয়েছে ১ জনের।

বিশ্লেষণে দেখা যায়, দায়-দেনাগ্রস্ত প্রার্থীর হার বিগত নির্বাচনের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়-দেনার হার ছিল ৭.৮৩%; এবারের নির্বাচনে যা ১১.১১%।

আয়কর সংক্রান্ত তথ্য

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৪ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনের আয়কর প্রদানের তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এই ৩ জনের ২ জনই ৪ হাজার টাকা কর প্রদান করেছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন সর্বোচ্চ ৫১ লক্ষ টাকা কর প্রদান করেছেন।

১১২ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৫৮ জন (৫১.৭৯%) আয়কর প্রদান করেছেন। এই ৫৮ জনের মধ্যে ৩৬ জন (৬২.০৬%) কর প্রদান করেন ৫ হাজার টাকা বা তার চেয়ে কম এবং ৫ জন (৮.৬২%) প্রার্থী লক্ষাধিক টাকার অধিক কর প্রদান করেছেন।

৪৬ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে আয়কর প্রদান করেছেন ১৪ জন। এই ১৪ জনের মধ্যে ১২ জনই কর প্রদান করেন ৫ হাজার টাকা বা তার কম।

৩টি পদের সর্বমোট ১৬২ জন প্রার্থীর মধ্যে ৭৫ জন (৪৬.৩০%) কর প্রদান করেছেন। এই ৭৫ জনের মধ্যে ৫০ জনই (৬৬.৬৭%) কর প্রদান করেন ৫ হাজার টাকা বা তার কম কম। লক্ষাধিক টাকা কর প্রদানকারী প্রার্থী আছেন ৬ জন (৮%)।

তুলনা করলে দেখা যায় যে, বিগত নির্বাচনের চেয়ে আয়কর প্রদানকারীর হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮ সালে আয়কর প্রদানকারীর হার ছিল ২৭.১৮%। এবারের নির্বাচনে তা দাঁড়িয়েছে ৪৬.৩০%। এই প্রবণতা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক।

আমাদের প্রত্যাশা, আমরা প্রার্থীদের তথ্যের যে বিশ্লেষণ তুলে ধরছি, গণমাধ্যমে তা প্রচারিত ও প্রকাশিত হবে এবং ভোটাররা কী ধরনের প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সে স¤পর্কে ধারণা পাবেন। একইসাথে মেয়র প্রার্থীসহ স্ব স্ব এলাকার কাউন্সিলর প্রার্থীদের তথ্য স¤পর্কে তারা জানবেন এবং প্রার্থীদের স¤পর্কে ভালভাবে জেনে, শুনে ও বুঝে সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রার্থীদের সপক্ষে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। কিন্তু মালিকরা সরাসরি দেশ শাসন বা সেবামূলক প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিচালনা প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় না। তারা এই কাজটি স¤পন্ন করে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে।

আর এই জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ের পদ্ধতিই হচ্ছে নির্বাচন। এই বাছাই প্রক্রিয়া যদি সঠিক হয়, তবে একথা বলা যায় যে, রাষ্ট্রের মালিকরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে রাষ্ট্র বা সেবামূলক প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিচালনা করছে। আর যদি সঠিক প্রক্রিয়ায় প্রতিনিধি নির্বাচিত না হন, তবে সেকথা বলার সুযোগ থাকে না। তাই, জনগণের সম্মতির শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সঠিক জনপ্রতিনিধি নির্বাচন তথা সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

একটি নির্বাচন পরিচালনার মূল দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত থাকলেও এতে অনেক অংশীজন (স্টেক হোল্ডার) সংশ্লিষ্ট থাকে। একটি নির্বাচন তখনই অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ তথা সুষ্ঠু হয়, যখন সকল অংশীজন স্ব স্ব অবস্থানে থেকে স্ব স্ব ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করে। তাই আজকের এই সংবাদ সম্মেলন থেকে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে ‘সুজন’-এর উদাত্ত আহ্বান:

আশাকরি নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন স্ব স্ব অবস্থানে থেকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ তথা সুষ্ঠু করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবেন।

আবারও আমরা রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের দিকে দৃষ্টি ফেরাতে চাই। আমরা যদি ২০১৮ সালের নির্বাচনের দিকে পেছন ফিরে দিকে তাকাই, তবে অনেক বিষয়ই আমাদের স্মৃতিতে ভেসে ওঠে। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত ৫টি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেই ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের বিগত নির্বাচনের দৃশ্যপট ও অভিযোগগুলো ছিলো: নির্বাচনী প্রচারণার প্রথম দিন থেকেই নির্বাচনের দিন পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নিয়ন্ত্রণে থাকা; বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৫টি মামলা দেওয়া এবং দেড় শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা; পুরাতন মামলার অজ্ঞাতনামা আসামীর দেখিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা; গ্রেপ্তার আতঙ্কে অনেক নেতা-কর্মীর এলাকা ছাড়া হওয়া, খুলনার নবনির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকসহ তিনজন সংসদ সদস্যের নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে প্রচারণায় নামা; বিএনপি’র পথসভায় ককটেল হামলার ঘটনা ঘটা; নির্বাচনের দিন বিএনপি’র পোলিং এজেন্ট বের করে দেয়া; দুপুরের মধ্যেই কোনো কোনো কেন্দ্রের মেয়র পদের ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যাওয়া; ব্যালট পেপার কেড়ে নিয়ে সিল দেয়া; পূর্বেই ব্যালট পেপারে সিল দিয়ে বক্সে ভরিয়ে রাখা; বিএনপি প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত একটি কেন্দ্রের সামনে অবস্থান নেওয়া ইত্যাদি অন্যতম। এই ধরনের পরিস্থিতি এবারের নির্বাচনে আমরা আর প্রত্যক্ষ করতে চাই না।

আমরা পূর্বেই বলেছি যে, এই নির্বাচনে বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না। তার পরেও নির্বাচনের মাঠ মাঝে মাঝেই উত্তপ্ত হচ্ছে, ঘটছে আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনাও। কেননা এই নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের নিয়ে তেমন উত্তাপ-উত্তেজনা না থাকলেও, কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে কোনো কোনো ওয়ার্ডে উত্তেজনা রয়েছে। আচরণবিধিকে লঙ্ঘন করে প্রতিনিয়তই প্রার্থীদের শোডাউন করতে দেখা যাচ্ছে; দেখা যাচ্ছে বিভিন্নভাবে আচরণ বিধি ভঙ্গ করতে। তবে আশার কথা এই যে, আরচণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের সতর্ক করছে এবং ছোটো-খাটো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজন প্রার্থীকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আমরা মনে করি, গুরুতর অভিযোগের দায়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।

পরিশেষে সুজন-এর পক্ষ থেকে আমরা বলতে চাই যে, সব দলের অংশগ্রহণে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের যে প্রত্যাশা আমাদের ছিল, তা পূরণ না হলেও, যে সকল দল ও প্রার্থীরা এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, তাঁরা সকলেই যেন নির্বাচন কমিশনসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের কাছে সম-সুযোগ ও সম-আচরণ পান। অর্থাৎ এই নির্বাচনে যেন একটি লেভেল প্লেইং ফিল্ড দৃশ্যমান হয়। একই সাথে নির্বাচন কমিশন, সরকার, জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন স্ব স্ব অবস্থান থেকে স্ব স্ব ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করে এই নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে স¤পাদন করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আশাকরি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে জনআকাক্সক্ষা ও আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হবে এবং প্রকৃত অর্থেই গণরায় প্রতিফলিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৩০টি ওয়ার্ড এবং ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন ভোটার সম্বলিত এই সিটি কর্পোরেশন। ভোটারদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার ৬ জন।

মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহার এবং প্রতীক বরাদ্দের কাজ ইতোমধ্যেই স¤পন্ন হয়েছে। মেয়র পদে ৪ জন, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১২৪ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন; অর্থাৎ ৩টি পদে সর্বমোট ১৭৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে ৪ জন, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১১২ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন, অর্থাৎ ৩টি পদে সর্বমোট ১৬২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

উল্লেখ্য, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রার্থী ছাড়া আর কোনো নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। এই সিটিতে মোট ৩ জন প্রার্থী ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই ৩ জনই সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী প্রার্থী। তাঁরা হলেন ১ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের রেখা, ৭ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের বীনা মজুমদার এবং ৮ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের শিখা রায়। এছাড়া ২০ নং সাধারণ ওয়ার্ডের প্রার্থী রবিউল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এই নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে সাইফুল ইসলাম স্বপন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে হাতপাখা প্রতীক নিয়ে মুরশিদ আলম এবং জাকের পার্টি থেকে গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে লতিফ আনোয়ার।

নির্বাচনীবিধি অনুযায়ী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামা আকারে ৭ ধরনের তথ্য রিটার্নিং অফিসারের কাছে দাখিল করেছেন। আমরা ‘সুজন’-এর উদ্যোগে প্রার্থীগণ প্রদত্ত তথ্যসমূহ কেন্দ্রীয়ভাবে বিশ্লেষণ করেছি। আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আমরা গণমাধ্যমের সহযোগিতায় প্রার্থীদের তথ্যের বিশ্লেষণ জনগণের কাছে তুলে ধরতে চাই। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কী ধরনের প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, সে স¤পর্কে ভোটাররা ধারণা পাবেন এবং ভোটারদের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সকল প্রার্থী স¤পর্কে বিস্তারিত জানার আগ্রহ সৃষ্টি হবে। একইসঙ্গে প্রার্থীদের সম্পর্কে জেনে-শুনে-বুঝে ভোটাধিকার প্রয়োগেও আগ্রহী হবেন তারা।

শেয়ার করুন