কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনস থেকে বেনোনির উইলোমুর পার্ক—পৃথিবীর দুই প্রান্তের দুই স্টেডিয়াম। সাত বছরের ব্যবধানে গতকাল দুই স্টেডিয়াম যেন এক বিন্দুতে মিলে গেছে। প্রতিযোগিতা ভিন্ন হলেও বাংলাদেশ, ভারত—দল দুটি একই রকম পরীক্ষা দিয়ে উতরে গেছে।
২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির গ্রুপ পর্বের ম্যাচে কার্ডিফে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড। সেমিফাইনালে যেতে বাংলাদেশের সেই ম্যাচ জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না। সেই চাপের ম্যাচেই কিনা বিপর্যয়ে পড়ল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২৬৬ রানের লক্ষ্যে নেমে বাংলাদেশ ৩৩ রানেই হারিয়ে বসে ৪ উইকেট। তামিম ইকবাল, সাব্বির রহমান, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম দ্রুত ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন। বিপদে পড়া বাংলাদেশের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসান। পঞ্চম উইকেটে সাকিব-মাহমুদউল্লাহ গড়েন ২০৯ বলে ২২৪ রানের জুটি, যা বাংলাদেশের ৫ উইকেটের জয়ের ভিত্তি গড়ে দেয়। এখনো পর্যন্ত তা ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পঞ্চম উইকেটের সর্বোচ্চ জুটি। সব মিলিয়ে তা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
অন্যদিকে গতকাল বেনোনিতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের সামনে লক্ষ্য কিছুটা কম ছিল বাংলাদেশের চেয়ে। তবু দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা খুব ভুগিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটারদের। ২৪৫ রানের লক্ষ্যে ৩২ রানেই ভারত হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। টানা পঞ্চম ফাইনাল ভারতের কাছে তখনো অনেক দূরের পথ মনে হচ্ছিল। পঞ্চম উইকেটে শচীন দাসের সঙ্গে ভারতীয় অধিনায়ক উদয় সাহারান গড়েন ১৮৭ বলে ১৭১ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত ভারতীয় যুবারা জেতে ২ উইকেটে। এই জুটি ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের ইতিহাসে পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি। ভারতের রুদ্ধশ্বাস জয়ের পর সৌরভ গাঙ্গুলি টুইট করেন, ‘৩২ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর এমন জয়। তরুণ ক্রিকেটারদের থেকে এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। দক্ষিণ আফ্রিকা দলেও অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছে।’