২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৭:৫৬:৪২ অপরাহ্ন
৩০ হাজার টাকায় রোহিঙ্গা হয়ে যাচ্ছে ‘বাংলাদেশি’
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০২-২০২৪
৩০ হাজার টাকায় রোহিঙ্গা হয়ে যাচ্ছে ‘বাংলাদেশি’

বাংলাদেশের ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করছেন অনেক রোহিঙ্গা; খরচ পড়ে ৩০ হাজার টাকার মতো। এসব কাজে জড়িত চক্রের হয়ে কাজ করছেন পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের কর্মীরাও। সম্প্রতি এমন একটি চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ।


এদিকে এনআইডি জালিয়াতি রোধে এক কর্মকর্তার কম্পিউটার অন্য কর্মকর্তা যেন ব্যবহার করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।


গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজন হলেন- দিনাজপুরের বিরল পৌরসভার কম্পিউটার অপারেটর মো. আব্দুর রশিদ, বিরলের রানীপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর সোহেল চন্দ্র, মো. শহিদুল ইসলাম মুন্না, মো. রাসেল খান ও মো. মোস্তাফিজুর রহমান।


ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সচিবের আইডি ব্যবহার করে গ্রেপ্তার হওয়া রশিদ ও সোহেল এনআইডি ও জন্মনিবন্ধনের সার্ভারে


প্রবেশ করতেন। তাদের কাছে গ্রাহক এনে দিতেন মাঠ পর্যায়ে কাজ করা বাকি তিনজন। চক্রটি জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরির কথা বলে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহক আকৃষ্ট করে।


ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুর রহমান আজাদ বলেন, এই চক্রের মূলহোতা রশিদ-সোহেল। চক্রটি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা জনগণকে বিরলের অধিবাসী দেখিয়ে জন্মনিবন্ধন সনদ বানিয়ে দিত। কুষ্টিয়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের অন্যান্য এলাকাতেও চক্রের লোকজন আছে। ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে দিতে তারা ৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে।


সাইফুর রহমান আজাদ আরও জানান, চক্রটি ফেসবুকে প্রচারণা চালাত। তাদের মাধ্যমে অনেক দাগি আসামিও নিজের নাম-পরিচয় পাল্টিয়ে ভুয়া জন্মনিবন্ধন নিয়েছে। অনেকে ভুয়া পাসপোর্ট তৈরি করেছে।


 সব আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে ইসির একটি নির্দেশনা পাঠিয়েছেন এনআইডি শাখার সিস্টেম এনালিস্ট মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এনআইডি সংশোধনের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা ‘গ’ ক্যাটাগরি, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা ‘খ’ ক্যাটাগরি, উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তারা ‘ক’ ক্যাটারির সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তি করে থাকেন বিধায় ওই কর্মকর্তাদের কার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএমএস) অ্যাকাউন্ট খুবই সংবেদনশীল। কর্মকর্তাদের কম্পিউটারগুলো শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিয়ে লক রাখতে হবে এবং টেবিল থেকে ওঠার আগে অবশ্যই লক করে উঠতে হবে।



শেয়ার করুন