২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৭:১৯:৪০ অপরাহ্ন
রাবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দেশীয় অস্ত্রের মহড়া
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-১১-২০২৩
রাবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দেশীয় অস্ত্রের মহড়া

হলের সিট থেকে নামিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে মধ্যে রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছে।  এবং মুখমুখি অবস্থানও নিয়েছিল। সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টা থেকে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাত দেড়টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলের ৩২২ নাম্বার কক্ষ থেকে বিবেক সাহা নামের এক শিক্ষার্থীকে নামিয়ে দেয় তাসকিফ আল তৌহিদ নামের ছাত্রলীগ নেতা। সোমবার  রাত সাড়ে আটটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।


বিবেক নাট্যকলা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। বিবেক সাহা নবাব আব্দুল লতিফ হলের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেনের অনুসারী। তৌহিদ সে সিটে তার এক কর্মীকে তুলে দেন। আরবী বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী তৌহিদ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী এবং শামীম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল ইসলাম সরকার ডনের অনুসারী। বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র শামীম সদ্য বিদায়ী কমিটির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।


বিবেককে হল থেকে নামিয়ে দিলে শামীম তার কর্মীদের নিয়ে তৌহিদের কর্মীকে সিট থেকে নামিয়ে দেন। এরপর শামীম ও তার নেতাকর্মীরা হলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শোডাউন দেয়। পরে  শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি – সম্পাদকের বিভিন্ন হলের অনুসারীরা হলের সামনে জড়ো হয়ে শোডাউন দেন। এরপর, দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা ২ দফা শোডাউন দিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেন। শোডাউন তাদের হাতে বাঁশ, লোহার রড, পাইপ দেখা যায়। এসময় শামীমের অনুসারীরা হলের ভেতরে অবস্থান নেন এবং সভাপতি- সম্পাদকের অনুসারীরা হলের বাইরে অবস্থান নেন। পরে, সভাপতি – সম্পাদক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন।


শামীম হোসেন বলেন, আমার যে কর্মীকে হল থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে সে হলের আবাসিক ছাত্র। আর যে ছেলেকে হলে তুলেছে সে অনাবাসিক ছাত্র। তৌহিদ নিজেই হল থেকে বহিষ্কৃত। সভাপতি- সম্পাদকের অনুসারীরা আমার ব্যানার, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে। তারা আমার কর্মীকে হল থেকে নামিয়ে দিয়েছে। তাই, আমরা প্রতিবাদ করেছি।


মধ্যস্থতা শেষে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে কোন ভুল বোঝাবুঝি বা সমস্যা হলে, আগে আমাদের জানাতে হবে। যেকোন সমস্যা দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তি করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।


শেয়ার করুন