২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৪:২৩:০৭ অপরাহ্ন
বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করাই এখন লক্ষ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০২-২০২৪
বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করাই এখন লক্ষ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাকে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি যে প্রতিবাদ হবে, সে সময়ের তরুণ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জেলখানায় বসে সে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের পূর্বসূরিরা জীবন দিয়ে ভাষার দাবি প্রতিষ্ঠা করেছেন।’


 


তিনি বলেন, ‘২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া আমাদের জাতীয় জীবনে এক বিশাল অর্জন। আজ আমাদের লক্ষ্য ও স্বপ্ন হলো, বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করা।’ পৃথিবীতে ৩৫ কোটির বেশি মানুষ বাংলা ভাষাভাষী বলে এ সময় উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


উল্লেখ্য, জনসংখ্যা ও ব্যবহারের দিক থেকে বাংলা ভাষার অবস্থান বিশ্বে ষষ্ঠ। বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বে দুটি দেশে দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বাংলা। দেশ দুটি হলো- ভারত ও সিরেয়া লিওন।


এদিকে, জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা এখন ছয়টি। এগুলো হলো- ইংরেজি, চীনা, রুশ, স্প্যানিশ, ফরাসি ও আরবি। ইংরেজি, ফরাসি, রুশ ও চীনা ভাষা ১৯৪৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। রুশ ও স্প্যানিশ ভাষা নিরাপত্তা পরিষদের ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায় ১৯৬৯ সালের ২২ জানুয়ারি। চীনা ভাষা নিরাপত্তা পরিষদে ব্যবহার শুরু হয় ১৯৭৪ সালে। সর্বশেষে আরবি জাতিসংঘের ষষ্ঠ দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে তালিকাভুক্ত হয় ১৯৭৩ সালে। আর নিরাপত্তা পরিষদে এর ব্যবহার শুরু হয় ১৯৮২ সালের ২১ ডিসেম্বর।


শেয়ার করুন