২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৭:৫৪:৩২ অপরাহ্ন
চ্যালেঞ্জে ১১ হাজার কোটি ডলারের লক্ষ্য নিরূপণ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০২-২০২৪
চ্যালেঞ্জে ১১ হাজার কোটি ডলারের লক্ষ্য নিরূপণ

গঠন হবে ডাটা ব্যাংক ও রপ্তানি ঋণ মনিটরিং কমিটি 


স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণকালীন ১১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে প্রণয়ন করা হয়েছে রপ্তানিনীতির (২০২৪-২০২৭) খসড়া। এ সময়ে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের বাজারগুলোতে দীর্ঘদিনের পাওয়া শুল্ক-কোটামুক্ত সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ। ইউরোপের বাজারে দেশের পণ্য রপ্তানিতে নতুন করে ১০ শতাংশ শুল্ক গুনতে হবে রপ্তানিকারকদের। সীমিত হবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও’র) চুক্তির আওতায় বিশেষ সুবিধাগুলো। এসবসহ আরও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই বাস্তবায়ন করতে হবে নতুন রপ্তানিনীতি।


যদিও এর আগের ২০২১-২০২৪ রপ্তানিনীতিতে আট হাজার কোটি মার্কিন ডলারের আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা অর্জন সম্ভব হয়নি। কারণ কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা রপ্তানি আয়ে বড় বাধা সৃষ্টি হয়।


জানা গেছে, রপ্তানিনীতির খসড়ার ওপর সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের মত চেয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরপর তা চূড়ান্ত আকারে ঘোষণা দেওয়া হবে। আর ঘোষণার দিন থেকে ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এ নীতি কার্যকর থাকবে। প্রতি তিন বছর অন্তর রপ্তানি খাতের জন্য এ নীতি প্রণয়ন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।


সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। রপ্তানি বহুমুখীকরণের মাধ্যমে বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিদেশে আমাদের মিশনগুলোকে আরও জোরালো ভূমিকা পালন করতে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


জানতে চাইলে সাবেক বাণিজ্য সচিব (সিনিয়র) মাহবুব আহমেদ যুগান্তরকে জানান, ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ ঘটবে আমাদের। এ ঘটনার পর উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর বাজারে যেসব সুবিধা কমবে সেগুলো আরও তিন বছর বহাল থাকবে। অর্থাৎ আগামী ২০২৯ সাল পর্যন্ত বলবত থাকবে। ফলে নতুন রপ্তানি নীতিমালা খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। তবে এর বাইরে যে সমস্যা সেটি হচ্ছে বাজার ও পণ্য বহুমুখীকরণ। কিছুটা কার্যকর হলেও এখন অনেক বাকি আছে। পণ্য বৈচিত্র্যকরণে বিরাট সম্ভাবনা থাকলেও খুব বেশি এগোনো যায়নি। এ সময় অনেক পণ্য এলেও এখনো তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভরশীল আছি।


সূত্র মতে, খসড়া রপ্তানিনীতির আওতায় বাইরে থাকবে বিদেশগামী জাহাজ অথবা বিমানের ভান্ডার, যন্ত্রপাতি, মেশিনের যন্ত্রাংশ, রন্ধন শালার অংশ হিসাবে ঘোষিত পণ্য, নাবিক, উড়োজাহাজ, যান বা বিমান ক্রু ও যাত্রীদের সঙ্গে বৃহনকৃত ব্যাগেজ।


শেয়ার করুন