পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের গাড়ির জন্য ৭৫০ টাকাসহ মোট ১৬ হাজার ৪০০ টাকা টোল দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বহরে থাকা মোট ১৮টি গাড়ির জন্য এ টোল দেন তিনি।
শনিবার (২৫ জুন) বিকেলে পদ্মা সেতুর টোলকর্মী তানিয়া আফরিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, প্রথম ব্যক্তি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পার হয়েছেন।
এর আগে, এ দিন দুপুর ১২টার একটু আগে মাওয়ায় পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে জাজিরা প্রান্তে যান তিনি।
তবে আজ (শনিবার) যানবাহন চলাচলের জন্য উদ্বোধন করা হলেও আগামীকাল (রোববার) ভোর ৬টায় সর্বসাধারণের যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে পদ্মা সেতু।
সরকার নির্ধারিত টোল হার অনুযায়ী, পদ্মা সেতু পারাপারে মোটরসাইকেলে ১০০ টাকা, কার ও জিপে ৭৫০ টাকা, পিকআপে এক হাজার ২০০ টাকা, মাইক্রোবাসে এক হাজার ৩০০ টাকা টোল পরিশোধ করতে হবে।
বাসের ক্ষেত্রে ছোট বাস (৩১ আসন) এক হাজার ৪০০ টাকা, মাঝারি বাস (৩২ আসন বা এর বেশি) দুই হাজার টাকা, বড় বাসপ্রতি (থ্রি-এক্সেল) দুই হাজার ৪০০ টাকা টোল দিতে হবে।
এছাড়া পদ্মা সেতু পার হতে ছোটো ট্রাককে (পাঁচ টন পর্যন্ত) এক হাজার ৬০০ টাকা, মাঝারি ট্রাকে (পাঁচ টন থেকে সর্বোচ্চ আট টন পর্যন্ত) দুই হাজার ১০০ টাকা, মাঝারি ট্রাক (আট টন থেকে সর্বোচ্চ ১১ টন) দুই হাজার ৮০০ টাকা, বড় ট্রাকে (থ্রি-এক্সেল পর্যন্ত) পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা, ট্রেইলার (ফোর-এক্সেল পর্যন্ত) ছয় হাজার টাকা টোল দিতে হবে। আর ফোর-এক্সেলের অধিক ট্রেইলারের ক্ষেত্রে ছয় হাজারের সঙ্গে প্রতি এক্সেলের জন্য এক হাজার ৫০০ টাকা যুক্ত হবে।
পদ্মাসেতু থেকে মাসে টোল আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। বছরের হিসেবে তা হবে ১ হাজার ৬০৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এ টাকা দিয়ে সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়াও নির্মাণ খরচের ঋণ পরিশোধ করবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
কোনো উন্নয়ন সহযোগী বা প্রতিষ্ঠানকে নয়, স্বয়ং বাংলাদেশ সরকারকে ৩৫ বছরে সুদসহ ৩৬ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ।