২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০২:০৫:০০ পূর্বাহ্ন
ডিজিটাল হচ্ছে তিতাস
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-০৩-২০২৪
ডিজিটাল হচ্ছে তিতাস

গ্রাহক ফাইলিং ডিজিটাইজড করছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। মোবাইল ফোন, কম্পিউটার বা যে কোনো ডিজিটাল ব্যবস্থায় গ্রাহক যাতে যাবতীয় তথ্য পেতে পারে, সে জন্য গ্রাহকদের যাবতীয় ফাইল ওয়েববেজড ইন্টিগ্রেটেড সিস্টেমে যুক্ত হচ্ছে। এতে গ্রাহক ঘরে বসে যাবতীয় তথ্য জানার পাশাপাশি বিল পরিশোধ করতে পারবেন, অভিযোগ দিয়ে সেটি সমাধানের চেষ্টা করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশা করছেন, এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে তিতাসে অনিয়মের অভিযোগ বন্ধ হবে।


জানা গেছে, তিতাসের ৩২টি কার্যালয়ের এক হাজার ৩৫০টি রেজিস্টারে থাকা গ্রাহকদের সাত লাখ ৭৭ হাজার ৬৪টি ফাইল ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে। এসব ফাইলে প্রায় সাত কোটি আলাদা পাতা বা পেজ রয়েছে। কাজটি সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) সঙ্গে চুক্তি সই করেছে তিতাস। গত ৬ মার্চ বিসিসি অফিসে চুক্তি সইয়ের পর কর্মকর্তারা আশা করছেন, কাজটি বাস্তবায়ন হলে গ্রাহকসেবা ও গ্রাহকদের তথ্য সংগ্রহে আমূল পরিবর্তন আসবে।


তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ মোল্লা আমাদের সময়কে বলেন, পাইপলাইন পরিবর্তন থেকে শুরু করে অনলাইন বেজড সেবা প্রদানে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। গ্রাহকদের সব ফাইল ওয়েব ইন্টিগ্রেটেড করা হচ্ছে। তাতে গ্রাহকরা ঘরে বসে অনেক ধরনের সেবা পেতে পারবেন, অপরাধপ্রবণতাও কমে আসবে।


তিতাসের সব কার্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডিজিটাল হাজিরা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান হারুনুর রশীদ মোল্লা। তিনি বলেন, কোম্পানিতে যত প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটবে, তত জবাবদিহিতা বাড়বে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, ইতোমধ্যে ই-ফাইলিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পুরোপুরি পেপারলেস অফিস করা হবে। পাইপলাইনে


জিপিএস প্রযুক্তি যুক্ত করা হচ্ছে। প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হচ্ছে গ্রাহকদের। সামগ্রিকভাবে তিতাসে একটি গুণগত পরিবর্তন হচ্ছে।


তিতাস সূত্র জানিয়েছে, চলমান ওয়েববেজড ইন্টিগ্রেটেড সিস্টেম থেকে মিটারযুক্ত বা মিটারবিহীন, বাল্ক গ্রাহকসহ সব শ্রেণির গ্রাহকদের বিল প্রক্রিয়াকরণ, লেজার সংরক্ষণ, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, জিপিএফ, ঋণ, বোনাস ও অন্যান্য যাবতীয় কার্যক্রম প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছে। কোম্পানির যে কোনো গ্রাহকের তথ্য মুহূর্তে জানতে পারবেন শীর্ষ কর্মকর্তারা। অ্যাপস ব্যবহার করে গ্রাহকরা বিল পরিশোধ, অভিযোগ দিতে পারবেন। গ্রাহকদের যে কোনো তথ্য মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে মুহূর্তে জানিয়ে দেওয়া যাবে।


পাইলট প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ঢাকা মেট্রো বিপণন বিভাগ ৪-এর সব ফাইল সফলভাবে ডিজিটাল আর্কাইভ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক তারিক আনিস খান। তিনি আমাদের সময়কে বলেন, সেখানে ৮০ হাজার ৯১০টি ফাইল এবং ৪৫টি রেজিস্ট্রার বই যুক্ত হয়েছে। সব গ্রাহকের ফাইল ডিজিটাল আর্কাইভের আওতায় আনা হবে।


উল্লেখ্য, দেশের সর্ববৃহৎ গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস। ১৯৬৪ সালের ২০ নভেম্বর যাত্রা করে এ কোম্পানিটি। বর্তমানে তাদের ১৩ হাজার ৩৯১ দশমিক ৩২ কিলোমিটার পাইপলাইন রয়েছে। বিদ্যুৎ, সার, শিল্প, বাণিজ্য, সিএনজি, আবাসিক খাতে বৃহত্তর ঢাকা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ করে কোম্পানি। প্রায় ২৮ লাখ ৭৮ হাজার ৭৫৭ জন গ্রাহক রয়েছে। দেশের মোট গ্যাস সরবরাহের মধ্যে ৫৫ শতাংশ গ্যাস তিতাসের আওতাধীন এলাকার গ্রাহকরা ব্যবহার করে।


শেয়ার করুন