বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লাইন-৩ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-গাজীপুর রুটে নির্মিত সাতটি ফ্লাইওভার আনুষ্ঠানিকভাবে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রোববার সচিবালয়ে তার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি ফ্লাইওভারগুলো উদ্বোধন করেন।
এসময় তিনি বলেন, 'এগুলো যাত্রীদের জন্য ঈদ উপহার। মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমরা এই ফ্লাইওভারগুলো খুলে দিয়েছি।'
এ বছরের মধ্যেই বিআরটি সেবা চালু হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, এ প্রকল্প নির্মাণে বিলম্ব হয়েছে। যথাসময়ে শেষ করা সম্ভব হয়নি। এটি বাস্তবায়নে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটেছে। তারপরও দেরিতে হলেও কাজটি শেষ হওয়ার পথে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে এই ফ্লাইওভারগুলো দিয়ে যান চলাচল করতে পারবে। যার মধ্যে রয়েছে ৩২৩ মিটার এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (বাঁ-পাশ), ৩২৩ মিটার এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (ডান-পাশ), ১৮০ মিটার জসীমউদ্দীন ফ্লাইওভার, ১৬৫ মিটার ইউটার্ন-১ গাজীপুরা ফ্লাইওভার, ১৬৫ মিটার ইউটার্ন-২ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ফ্লাইওভার, ২৪০ মিটার ভোগড়া ফ্লাইওভার এবং গাজীপুরের চৌরাস্তায় ৫৬৮ মিটার ফ্লাইওভার।
ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদযাত্রার বিষয়ে আমরা সভা করেছি। ঈদযাত্রার আগে ও পরে ট্রাক-ভারী পরিবহণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গাজীপুর কিছুটা সমস্যার কারণ ছিল কিন্তু সেটিও এবার আরও সমাধান হয়ে গেল। এবার ঈদযাত্রা পুরোপুরি স্বস্তিদায়ক হবে। বিআরটি প্রকল্পের জন্য সেরকম দুর্ভোগ হবে না। তবে এবার ময়মনসিংহে যাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে। গতবারও আমরা একটি রাস্তা চালু করে দিয়েছিলাম। সেজন্য কিছুটা স্বস্তি হয়েছিল। এবার সাতটি ফ্লাইওভার চালু করে দিচ্ছি, তাতে চলাচল আরও সহজ হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের দেশের রাজনীতি এত নির্মম যে জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু করার কথাও আসে।