৩১ জানুয়ারী ২০২৫, শুক্রবার, ০৭:৩৯:৪২ অপরাহ্ন
ইউরোপে অভিবাসন: কপাল পুড়ছে বাংলাদেশিদের
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০৫-২০২৪
ইউরোপে অভিবাসন: কপাল পুড়ছে বাংলাদেশিদের

যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ অবৈধ হয়ে পড়া হাজার হাজার বাংলাদেশি অভিবাসীকে ফেরত পাঠাচ্ছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যই ফেরত পাঠাবে কমপক্ষে ১০ হাজার বাংলাদেশিকে।


ফেরত পাঠানোর কাজটি সহজ করতে যুক্তরাজ্য গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিজার্স–এসওপি) সই করেছে। লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন গতকাল শুক্রবার বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দুই দেশের স্বরাষ্ট্রবিষয়ক যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেডব্লিউজি) প্রথম সভায় এসওপি সই হয়েছে। এর আগে ১০ মে ইতালি অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর কথা জানায়। রোমানিয়ায় আটক তিন হাজারের বেশি বাংলাদেশিও ফেরত আসার ঝুঁকিতে রয়েছেন। অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশি ইউরোপের বিভিন্ন দেশেই আছেন।


ব্রিটিশ অবৈধ অভিবাসনমন্ত্রী মাইকেল টমলিনসন জেডব্লিউজির বৈঠকে আলোচনার সূত্রপাত করেন। লন্ডন থেকে প্রকাশিত পত্রিকা টেলিগ্রাফে গতকাল এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈঠকে ব্রিটিশ মন্ত্রী বলেছেন, অবৈধভাবে লোক আসা ও থাকা ঠেকাতে তাঁদের দ্রুত ফেরত পাঠানো গুরুত্বপূর্ণ। এটিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের সঙ্গে সহায়তা জোরদার করা হয়েছে।


লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বৈঠকে অবৈধ অভিবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের ‘শূন্য সহিষ্ণুতার’ নীতি তুলে ধরে বলেন, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসী খুব কম। কারণ, এক দশকের বেশি সময় ধরে অবৈধ হয়ে পড়া অনেককে দেশে ফেরত পাঠাতে হাইকমিশন সহায়তা করে চলেছে।


টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে আগের এক বছরে প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশি পড়াশোনা, ভ্রমণ ও কর্মী ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে যান। তাঁদের প্রায় সবাই সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেন। এমন আবেদনের ৯৫ শতাংশ খারিজ করেছে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। এই ১০ হাজারের বেশি আবেদনকারীকে নতুন এসওপির আওতায় ফেরত পাঠানো যাবে।


সূত্র জানায়, ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে উভয় পক্ষ বিদ্যমান ভিসা ব্যবস্থার মাধ্যমে দক্ষ কর্মীদের জন্য বৈধ অভিবাসনের সুবিধা চালু রাখা, আইনি সহায়তা ও বন্দীদের ফেরত পাঠানো এবং গুরুতর অপরাধ মোকাবিলায় তথ্য আদান-প্রদানে পরস্পরকে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়।


চুক্তিটির আওতায় যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চেয়ে আবেদন নাকচ হয়েছে, ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও অবস্থান করছেন এবং অপরাধের রেকর্ড আছে, এমন ব্যক্তিদের ‘বাধ্যতামূলক সাক্ষাৎকার’ ছাড়াই সহজে ফেরত পাঠাতে পারবে দেশটি।


টেলিগ্রাফ বলছে, গত এক দশকে যুক্তরাজ্যে যাওয়া প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন। তাঁদের মধ্যে সর্বোচ্চ পাকিস্তানিরা, প্রায় ১৭ হাজার ৪০০। এরপরই বাংলাদেশ, প্রায় ১১ হাজার। ভারতীয় ৭ হাজার ৪০০। আফগানিস্তান ও নাইজেরিয়ার প্রায় ৬ হাজার করে।


শেয়ার করুন